• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

৬ খাতকে ‘শিশুশ্রম মুক্ত’ ঘোষণা করেছে সরকার 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

দেশের ছয়টি শিল্প খাতকে ‘শিশুশ্রম মুক্ত’ হিসেবে ঘোষণা করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো- রেশম, ট্যানারি, সিরামিক, গ্লাস, জাহাজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং রফতানিমুখী চামড়াজাত দ্রব্য ও পাদুকা শিল্প।গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এ ঘোষণা করেন।

প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান জানান, গত ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের সপ্তম সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের সুপারিশ বিবেচনা করে বিভিন্ন খাতকে সময় সময় শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করার সুপারিশ আসে। পরে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে ‘জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি’ গঠন করা হয়।

ট্যানারি, গ্লাস, সিরামিক, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ, রফতানিমুখী চামড়াজাত দ্রব্য ও পাদুকা এবং রেশম- এই ছয়টি শিল্প খাতের মালিক পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব খাতে কোনো শিশু শ্রমিক নেই।

সংশ্লিষ্ট খাতের সমিতি থেকে প্রত্যয়ন পাওয়ার পর জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এ ছয় খাতের বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করে। তার আগেই কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পরিদর্শকরা কারখানা পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয়। আর জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি ছয়টি খাত পরিদর্শন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ছয়টি প্রতিবেদন দাখিল করে।

মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, কোর কমিটি জানিয়েছে, পরিদর্শনকালে তারা সেখানে কোনো শিশু শ্রমিক দেখতে পায়নি। তাই আমি এই ছয়টি খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেরাণীগঞ্জে গেঞ্জি খাতে এখনও শিশুদের বড় একটি অংশ কাজ করছে। আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলব। কেরাণীগঞ্জে শিশুশ্রম বন্ধ করতেই হবে।

শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে নয়টি কৌশলগত ক্ষেত্র চিহ্নিত করে গত বছরের অক্টোবরে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছিল সরকার।

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের নিচে কাউকে কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত করা যাবে না। তবে ১৪ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ নয়, এমন হালকা কাজ করতে পারবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ১২ লাখ ৮০ হাজার।

মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ শিশুশ্রম মুক্ত হবে বলে আশা করছি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here