• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বছরের শুরু থেকেই দর্শনার্থী বেড়েছে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায়

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

বছরের শুরু থেকেই লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় দর্শনার্থী বেড়েছে। বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা এখানে ঘুরতে আসছেন বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বনভোজনে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এতে পুরো ব্যারাজ এলাকাটি দিনভর মুখর থাকছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ প্রতিদিনই তিস্তা ব্যারাজ দেখতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। তাদের কেউ ব্যারাজ দিয়ে হাঁটছেন আবার কেউ ছবি তুলছেন। বালুচরে হেঁটে কেউ কেউ এপার থেকে ওপার যাচ্ছেন। এছাড়া তিস্তার উজানে কিছুটা পানি থাকায় কয়েকটি স্পিডবোট দর্শনার্থীদের এপার থেকে ওপার ঘোরাচ্ছে। কেউবা নদীতে দলবেঁধে নেমে গোসল করছেন।

এ সুযোগে ব্যারাজের দুইপাড়ে দোকান বসিয়ে বিভিন্ন পণ্য দর্শনার্থীদের কাছে বিক্রি করছেন স্থানীয়রা। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে এ দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায় বলে জানালেন দোকানিরা।

ব্যারাজে ঘুরতে আসা শফিউল ইসলাম বলেন, এখানে ঘুরতে অনেক ভালো লাগছে। আগে ব্যারাজ এলাকায় কিছুই ছিল না। এখন বসার জায়গাসহ বিভিন্ন স্থাপনা হয়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ঘুরে খুব ভালো লাগছে।

ঠাকুরগাঁও থেকে আসা শিক্ষক শাহিন ইসলাম বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে তিস্তা ব্যারাজে ঘুরে অনেক ভালো লাগছে। তিস্তা নদীতে যদি ভরপুর পানি থাকতো তাহলে ভ্রমণটা আনন্দদায়ক হতো। তিস্তা ব্যারাজ থেকে যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু বালুচর আর বালুচর।

হাতীবান্ধা উপজেলা থেকে আসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফ বিল্লাহ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও শিশুসন্তানসহ পারিবারিকভাবে বনভোজনে এসেছি। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় অনেক জায়গা উন্নত হলেও নদীর দিকে তাকালে মন ভেঙে যায়। বর্ষাকালে তিস্তায় ভরপুর পানি দেখা গেলেও এখন পানিশূন্য।

তিস্তা ব্যারাজ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক বাবু বলেন, প্রতিবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তিস্তা ব্যারাজে বনভোজনে আসে। এসময় তিস্তা ব্যারাজ এলাকা শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীতে ভরপুর থাকে।

হাতীবান্ধার দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিপ্ত কুমার সিং বলেন, ব্যারাজ এলাকায় জনগণের জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। পাশাপাশি নদীতে গোসল না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here