• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

মিঠাপুকুরে চাঞ্চল্যকর শিশু রব্বানী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর শিশু গোলাম রব্বানী ওরফে রাব্বী হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন মো. আল আমিন হোসেন ও মো. মহিদুল ইসলাম ওরফে মুসফিকুর।

মঙ্গলবার উপজেলার সুলুঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি মোবাইল, ৯টি সিম ও একটি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করেন।  

সিনিয়র এএসপি মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারা।
 
তিনি আরো জানান, গত ২০ নভেম্বর সকালে নিহত রাব্বী বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে যায়। এরপর দুপুর গড়িয়ে গেলে বাসায় না আসায় তার বাবা, মা ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরের দিন মিঠাপুকুর থানায় রাব্বীর মা একটি জিডি করেন। শনিবার সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা রাব্বীর বাবার মোবাইলে কল দিয়ে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। গতকাল সোমবার সকাল ৯ টার দিকে ধান ক্ষেতে রাব্বীর মরদেহ পাওয়া যায়। মা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।   

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মহিদুল রবি টাওয়ারে কাজ করতো। ব্যাটারি চুরি করার কারণে তার চাকরি চলে যাওয়ায় সে জীবিকা নির্বাহের জন্য চুরি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। মহিদুল ও আল আমিন প্রতিবেশী এবং তারা সর্ম্পকে চাচা ভাতিজা। আল আমিন আইপিএল জুয়ায় জড়িয়ে পড়ে ২০ হাজার টাকা ঋণগ্রস্ত হয়। টাকা পাওনাদাররা বার বার চাওয়ার কারণে সে মহিদুলের কাছে টাকা ধার চায়। 

মহিদুল তখন তাকে বুদ্ধি দেয় তার কাছে কোনো টাকা নেই। রাব্বীর বাবা রফিকুলের অনেক টাকা আছে। তার বাচ্চাকে অপহরণ করতে পারলে বেশ কিছু টাকা আদায় করা যাবে। মহিদুল তাকে ২টি ঘুমের ওষুধ দেয়। মহিদুলের পরামর্শে সে রাব্বীকে চকলেট দেয়ার কথা বলে শুক্রবার ১১ টার দিকে তাকে তার বাসায় আনে। চকলেটের সঙ্গে কৌশলে ২টি ঘুমের ওষুধ সেবন করায়। ঘুমের ওষুধ সেবন করার পর ১৫ মিনিটের মধ্যে রাব্বী অচেতন হয়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাব্বীকে বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে খড়ের গাদায় রেখে তারা দুইজন পাহারা দেয়। রাত ১১ টার দিকে রাব্বী জেগে গেলে তাদেরকে চিনতে পারে এবং চিৎকার করার চেষ্টা করে। এ সময় তারা রাব্বীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। রাব্বীকে বস্তায় ভরে পাশের মাঠে নিয়ে যায়। গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে চলে যায়।  

তারা আরো জানায়, মহিদুলের পরামর্শে আল আমিন অপহরণকারী সেজে তার মোবাইল থেকে রাব্বীর বাবা রফিকুলকে মুক্তিপণের টাকা দেয়ার জন্য ছেলেকে হত্যার পরও কল দিতে থাকে। পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় হত্যাকাণ্ড সংঘটনের পর আসামিরা আটক হওয়ার আগ পর্যন্ত মুক্তিপণের টাকা দাবি করাসহ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here