করোনার টিকা নিতে আগ্রহী দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ!
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২১
Find us in facebook
দেশের মানুষের মধ্যে টিকা দেওয়া এবং না দেওয়ার মধ্যে একটি মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন টিকা দেবেন আবার কেউ বলছেন টিকা দেবেন না। এরই মধ্যে এক জরিপে ওঠে এসেছে দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা দিতে আগ্রহী।
রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউট এ জরিপ প্রকাশ করেছে। এ জরিপে সহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরও যুক্ত ছিলেন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, রংপুর হাইপারটেনশন রিসার্চ সেন্টার, ইউনিভারসিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ।
এ জরিপে গবেষক দলে ছিলেন ড. আহমেদ হোসেন (এন এস ইউ), ড. হাসান মাহমুদ রেজা, (এন এস ইউ), মিনহাজুল আবেদিন (সি আই পি আর বি), ড. ফারাহ নাজ রহমান (সি আই পি আর বি), আমিনুল ইসলাম (ইউল্যাব), ড. জাকির হোসেন (এইচ এ আরসি-রংপুর)
জরিপে বলা হয় ১২ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে ৭ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত সর্বমোট ৩ হাজার ৬৪৭ জন নাগরিক এ জরিপে অংশগ্রহণ করেন (অংশগ্রহণের হার ৮০ শতাংশ)। বাংলাদেশের ৮টি জেলার বিভিন্ন শহর, গ্রাম, এবং বস্তি থেকে দৈবচয়ন গবেষণা পদ্ধতির মাধ্যমে এ অংশগ্রহণকারীদের বাছাই করা হয়েছে। মুখোমুখি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও ভ্যাকসিন সম্পর্কিত ভাবনা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।
ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিপ্রায় তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল, প্রথম ভাগে ছিল যারা ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী, দ্বিতীয় ভাগে ছিল ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত বা নিশ্চিত নয় এবং তৃতীয় ভাগে ছিল যারা ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক নয়। ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতা পরিমাপ করা হয়েছে যারা এই গবেষণায় ভ্যাকসিনটি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যা মোট নমুনার ৭৪ দশমিক ৬ শতাংশ। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৭৪ দশমিক ৬ শতাংশ নাগরিক জানিয়েছেন তারা একটি কার্যকরী, নিরাপদ ভ্যাকসিন চিকিৎসক দ্বারা সুপারিশিত হলে বিনামূল্যে নিতে আগ্রহী হবেন। ৭ দশমিক ৮ শতাংশ নাগরিক ভ্যাকসিন নিতে একেবারেই ইচ্ছুক নয়। অপর ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ভ্যাকসিন গ্রহণ করা বা না করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।
জরিপে পাওয়া গেছে দিনমজুরদের মাঝে ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতা অন্যান্য পেশাজীবীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যহারে কম। রিকশাচালক, ফেরিওয়ালা, ঠেলাগাড়ি চালকদেরও দিনমজুর হিসেবে এ গবেষণায় বিবেচনা করা হয়েছে। অর্ধেকেরও কম (৪৬.৮%) দিনমজুর ভ্যাকসিন গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অন্যান্য পেশাজীবীদের মধ্যে ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতার হার পাওয়া গেছে ৬২ থেকে ৮৩ শতাংশ। মাসিক বেতনধারী অফিস কর্মীদের মাঝে ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতার হার ছিল সর্বোচ্চ। চিকিৎসক ও নার্সদের ভেতরও ভ্যাকসিনের উচ্চ গ্রহণযোগ্যতার হার পাওয়া গেছে, এ শ্রেণির ৮১ শতাংশই ভ্যাকসিন নেওয়ার বেপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন পেশাজীবীদের মাঝে ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্যতার হার এর এই বৈচিত্র্য নির্দেশ করে যে নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা ভ্যাকসিন গ্রহণের ব্যাপারে উদাসীন, এমনকি বিনামূল্যে প্রদান করা হলেও।
এ জরিপে আরও উঠে এসেছে শহরে বসবাসকারী নাগরিকরা গ্রামবাসীদের তুলনায় ভ্যাকসিন গ্রহণে অধিক আগ্রহী। গ্রামবাসীদের ভেতর ভ্যাকসিন অনিচ্ছা ও দ্বিধাগ্রস্ততা উভয়ই উল্লেখযোগ্যহারে বেশি পাওয়া গিয়েছে। ৬৪ শতাংশ গ্রামে বসবাসকারী নাগরিক ভ্যাকসিন নিতে তাদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন, শহরের নাগরিকদের মধ্যে যার হার পাওয়া গেছে ৮১ শতাংশ। গবেষণায় আরও দেখা গেছে মাত্র ৫৩ শতাংশ বস্তিবাসী ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী, যা বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের নাগরিকদের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বিভিন্ন বয়সের নাগরিকদের মাঝে ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতার হার তুলনা করে দেখা গেছে বৃদ্ধদের (৬০ এর অধিক বয়স) মাঝে অন্যান্য বয়সের তুলনায় ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্যতার হার কম (৬১%)। ১৮ থেকে ৫০ বছরের অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্যতার হার প্রায় একই রকম পাওয়া গেছে, যা ৩০ বছরের নিচের অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ছিল ৭৪ শতাংশ, এবং ৩১-৪০ ও ৪১-৫০ বয়স্কদের মাঝে ছিল যথাক্রমে ৭৩ শতাংশ ও ৭৮ শতাংশ। ৫১-৬০ বছরের অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্যতার হার ৬৮ শতাংশ যা বিভিন্ন বয়স বিভাগের মাঝে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এ ফলাফলের ভিত্তিতে বলা যায়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের মাঝে ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতার হার নিম্নমুখী।
লিঙ্গ বিবেচনায় ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্যতায় উল্লেখযোগ্য তারতম্য পাওয়া যায়নি। ৭৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৭৩ শতাংশ নারী ভ্যাকসিন গ্রহণে ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
জরিপটি বর্তমানে দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন এমন অংশগ্রহণকারীদের মঝেও ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতার তথ্য সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা গেছে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে যারা দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, এজমা, কিডনি সমস্যা ইত্যাদিতে ভুগছেন তাদের মাঝে ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্যতার হার অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় কম। বিভিন্ন ধরণের দীর্ঘস্থায়ী রোগের রোগীদের মাঝে ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্যতার হার ছিল ৫৩ থেকে ৬১ শতাংশের মধ্যে, যা সার্বিক গ্রহণযোগ্যতার হারের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম।
পূর্বে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝেও অন্যদের তুলনায় ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্যতার হার যথেষ্ট কম পাওয়া গেছে। কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকের বেশি (৫৬%) ভ্যাকসিন গ্রহণে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
জরিপের একটি উল্লেখযোগ্য ফলাফল ছিল অংশগ্রহণকারীদের ভ্যাকসিনের পেছনে ব্যয় করার অভিপ্রায়। ভ্যাকসিনের সঙ্গে মূল্য সংযোজিত হলে সার্বিক গ্রহণযোগ্যতার হার ৭৪.৬ শতাংশ থেকে কমে নেমে আসে ৪৬ শতাংশে। অতএব, অর্ধেকেরও বেশি অংশগ্রহণকারী টাকা ব্যয় করে ভ্যাকসিন নিতে অনিচ্ছুক।
বাংলাদেশে বিস্তৃত পরিসরে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন করার ক্ষেত্রে বড় বাধা থাকবে ভ্যাকসিন বিষয়ে মানুষের আস্থা তৈরি। এ কারণে স্বল্প শিক্ষিত মানুষের জন্য যোগাযোগ বার্তা এমনভাবে তৈরি করা প্রয়োজন, যা সহজে বোধগম্য হয় এবং মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন বিষয়ে বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আস্থা তৈরি করতে সমাজের মান্য ব্যক্তিরা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমুহের ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও অন্যান্য সমস্যার ব্যাপারে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে এগিয়ে আসতে হবে।
এটি বিবেচনায় রাখতে হবে যে এই গবেষণার ফলাফল একটি নির্দিষ্ট সময়ে মানুষের ভ্যাকসিন বিষয়ে ভাবনা তুলে ধরেছে। নতুন ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের সঙ্গে সঙ্গে এবং কোভিড-১৯-এর ঝুঁকি বিষয়ে মানুষের মনোভাবের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন বিষয়ে ভাবনা ও মনোভাবও পরিবর্তিত হতে পারে।
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ১২৩৪১ জন
- রংপুরে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
- রংপুরে মহানগর ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
- ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী কারাগারে
- পাটগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- সাদুল্লাপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা
- ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- কুড়িগ্রামে তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত
- কুড়িগ্রামে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- গাজার সেই শহরে আবারও নারকীয় হামলার ঘোষণা ইসরায়েলের
- পাটপণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী
- জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী: স্পিকার
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা