• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে আমাদের দায়িত্ব অপরিসীম: মোস্তাফা জব্বার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী  মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,  দেশ জন্মের ঠিকানায় নিতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রাজনীতিতে বাংলাভাষা রক্ষা ও বাঙালির সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে আমাদের দায়িত্ব অপরিসীম। বঙ্গন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধ করে ভৌগোলিক সীমানা প্রতিষ্ঠিত করেছি। রাজনীতিতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন যুক্ত হওয়া দরকার।

দেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি নির্ধারিত জনগোষ্ঠীর গণ্ডি অতিক্রম করে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।

শনিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহযোগী সংগঠন ‘জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড’-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, তিন দশকের অধিক কাল পূর্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি শহিদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে, তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের এ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। 

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এখন আমাদের স্বপ্ন। অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্ভাসিত সোনার বাংলা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলো ক্রমশ ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি দেশে অপসংস্কৃতি এবং মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক চেতনা রোধকল্পে ‘জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড’ নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে, যা আশার আলো ছড়াচ্ছে। 

জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সভাপতি যাত্রাভিনেতা, পালাকার ও নির্দেশক মিলন কান্তি দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রামেন্দু মজুমদার, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের কার্যকরী সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী মো. শওকত আলী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যাপক ও সাংবাদিক বদিউর রহমান এবং সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন বক্তৃতা করেন। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here