• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

হাতে ভোটের কালি থাকলে অজু হবে?

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

ভোট মানে গণতন্ত্রের উৎসব। নিজের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার দিন এটি। ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটি ভোট প্রদানের চিহ্ন হিসেবে কাজ করে। অনেকের প্রশ্ন, হাতে ভোটের কালি থাকলে অজু হবে?

ভোটগ্রহণের সময় জাল ভোট ঠেকানোর জন্য ভোটারদের আঙুলে এই কালি লাগিয়ে দেয়া হয়। এই অমোচনীয় কালিতে সিলভার নাইট্রেট থাকে। সেই সিলভার নাইট্রেট ত্বকের সংস্পর্শে এসে ত্বকের লবণের সঙ্গে মিশে যাওয়ায় এমন বিক্রিয়া করে, যা পানিতে ধুলেও মোছে না।

জানা যায়, ওই কালির মধ্যে অ্যালকোহল মেশানো থাকে। সাধারণত এসব অ্যালকোহল হারাম জিনিস থেকে তৈরি হয় না। অ্যালকোহল থাকায় অল্প সময়েই এই কালিটি শুকিয়ে যায়। রোদের আলোয় এই কালি শরীরের মধ্যে আরো সেঁটে যায়। কালিতে সিলভার নাইট্রেট যত বেশি পরিমাণ থাকবে, তত বেশি সময় দীর্ঘস্থায়ী হবে এই কালি। তবে এই কালি সাধারণত শরীরে আবরণ সৃষ্টি করে না। তাই ভোট দিতে গেলে কারো হাতে এই কালি লাগালেও অজু-গোসল শুদ্ধ হবে। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৪)।

এই কালি একটা প্রধান উপাদান হল রুপোর এক রাসায়নিক পদার্থ (সিলভার নাইট্রেট বা AgNO3)। ছয়ের দশকে ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি এই ফরমুলা তুলে দেয় দেশের একটি সংস্থাকে। মহীশূরের ওই কালি নির্মাণকারী সংস্থার নাম মাইসোর পেন্টস অ্যান্ড ভার্নিশ লিমিটেড। সংক্ষেপে ‘এমপিভিএল’।

আমাদের দেশে ভোটের সময় যে কালি ব্যবহৃত হয় সাধারণত তাতে প্রায় ১৮ শতাংশের কাছাকাছি থাকে সিলভার নাইট্রেটের ঘনত্ব, মোটামুটি সপ্তাহ তিনেক এটি স্থায়ী হতে পারে। আর কালি লাগানোর পর যদি হাতে অতিবেগুনি রশ্মি লাগে তাহলে তা হয় আরও স্থায়ী। বেগুনি রং তখন বদলায় কালচে-বাদামি রঙে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here