• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

মাঝ রাতে ঘুম ভাঙার পর যে দোয়ায় উদ্দেশ্য পূরণ হয়

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে যদি কেউ তার বিছানা থেকে ওঠে যায় তবে করণীয় কী? আবার পুনরায় ঘুমাতে গেলেই বা তার জন্য করণীয় কি? এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, কেউ যদি ঘুম ভাঙার পর আল্লাহর কাছে এই বিশেষ পদ্ধতিতে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন।

মূলত এ সময় দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ কারণ রয়েছে। তা হচ্ছে, এমন ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করবে এবং তার কাছে প্রার্থনা করবে যার অন্তর সর্বদা আল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত। ঘুম থেকে জাগ্রত হয়েই আল্লাহকে স্মরণ তার কাছে অনেক পছন্দনীয়। তাই যে ব্যক্তি এ অবস্থায় প্রার্থনা করবে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করবেন।

হাদিসে এসেছে, ওবাদাহ ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে জেগে ওঠে (উপরোক্ত) দোয়া পড়ে—

উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদির, ওয়া সুবহা নাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা ক্যুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ।’

অর্থ : এক আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। রাজ্য তারই। যাবতীয় প্রশংসা তারই।

তিনিই সব কিছুর ওপর শক্তিমান। যাবতীয় হামদ আল্লাহরই জন্য, আল্লাহ তাআলা পবিত্র, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান, গুনাহ থেকে বাঁচার এবং নেক কাজ করার কোনো শক্তি নেই আল্লাহর তাওফিক ছাড়া। অতঃপর বলে, হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করুন বা (অন্য কোনো) দোয়া করে, তার দোয়া কবুল হয়। অতঃপর অজু করে (নামাজ আদায় করলে) তার নামাজ কবুল হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৫৪)

তবে এই দোয়া কবুল হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে ঘুমানোর আগে পবিত্রতা তথা অজুর সঙ্গে ঘুম যাওয়া। যেমনটি অন্য আরেক হাদিসে এসেছে। মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে মুসলিম ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ও মহান আল্লাহকে স্মরণ করে রাত কাটায় (ঘুমায়) এবং রাতে জেগে আল্লাহর কাছে  দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের দোয়া করে, আল্লাহ তাকে তা দান করেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৪২)

এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, বান্দা ঘুমের ঘোরে থেকেও তার সৃষ্টিকর্তাকে ভোলে না। সে সময় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে। এটাই আল্লাহর কাছে অনেক পছন্দনীয় আমল।

Place your advertisement here
Place your advertisement here