শবে বরাতে হালুয়া-রুটির প্রচলন যেভাবে
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২১
Find us in facebook
হাজার বছরের ইবাদতের চেয়ে এই রাতের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। মহিমান্বিত এক রাত এই শবে বরাত। পুরো বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ মশগুল থাকেন আল্লাহর ইবাদতে। এ-রাতে সেহরে খেয়ে পরদিন রোজা রেখেছেন রাসূল (সা.)। তবে শবে বরাতে আলোকসজ্জা করা কিংবা হালুয়া রুটি খেতেই হবে এমন কিছুর উল্লেখ পাওয়া যায়নি কোথাও।
গ্রামে-গঞ্জের নারীরা বলে থাকেন, এমনিক বহু শহুরে শিক্ষিত মেয়েদের মুখেও শোনা যায়, রাসূল (সা.) বলেছেন- শবে বরাতে রুটি বানিয়ে খেলে আল্লাহ তায়লা তার আরশের নীচে ছায়া দেবেন । কেউ কেউ বলেন, হাদিসে আছে, কেয়ামতের কঠিন দিনে রুটি বড় হয়ে বান্দার মাথার ছাতা হবে। অথচ রাসূল (সা.) এর অজস্র হাদীসের কোথাও এমন কোনো বাক্যের উল্লেখ নেই । হাদিসের বর্ণনার সঙ্গে এর দূরতম সম্পর্কও নেই।
হালুয়া- রুটি খাওয়ার প্রচলন হলো যেভাবে
ওহুদ যুদ্ধে রাসুলের (সা.) দাঁত মোবারক শহিদ হলে পরে কিছুদিন তিনি কোনো শক্ত খাবার খেতে পারতেন না। তখন তাকে চালের নরম রুটি ও হালুয়া করে খাওয়ানো হয়। আল্লাহ তায়ালা তা-ই শবে বরাতের এই দিনে হালুয়া রুটি খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে এই নিয়ে রয়েছে যুক্তি তর্ক, ওহুদ যুদ্ধের সঙ্গে শবে বরাতের সম্পর্ক কী? ওহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে শাওয়াল মাসের ৭ তারিখে, আর শবে বরাত হয় শাবান মাসের ১৫ তারিখে। তবে শাবানের পনের তারিখের রাতের ফজিলত ও এ রাতের ইবাদত-বন্দেগির সাওয়াবের কথা বহু বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে আপন রহমতের দৃষ্টি দান করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন । (সহীহ ইবনে হিববান ও বায়হাকি)
অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে- কেউ যদি আরশের ছায়া জাতীয় কোনো ভুল ধারণা না রেখে বা নিজের ইবাদতে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে শবে বরাত উপলক্ষে এ ধরনের হালুয়া-রুটির ব্যবস্থা করে, তাহলে কি তা না জায়েজ হবে? উত্তর হলো- না, কিছুতেই নয়। উপরন্তু কেউ যদি ইবাদত গুজার বান্দাদের ইবাদত-বন্দেগি ও রোজা পালনের সুবিধার্থে হালুয়া-রুটি অথবা আমাদের দেশে প্রচলিত কোনো খাবারের ব্যবস্থা করে, তাহলে তা অবশ্যই অশেষ ফজিলত ও সাওয়াবের কারণ হবে।
হাদিসে আছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,- হে লোক সকল, তোমরা সালামের প্রচলন করো, মানুষকে খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সর্ম্পক রক্ষা করো এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ পড় তাহলে শান্তির সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ)
হালুয়া-রুটির সঠিক ইতিহাস
আসলে এই রাতের সঙ্গে হালুয়া-রুটির বিষয়টি এলো কোথা থেকে- তার পেছনে এক ইতিহাস রয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্ববর্তী যুগে এখনকার মতো মুসাফির যাত্রীদের থাকার জন্যে আবাসিক হোটেল-মোটেলের ব্যবস্থা ছিল না। তখন পথচারীদের বিশ্রামের জন্যে ছিল সরাইখানা কিংবা মুসাফিরখানা। সফর অবস্থায় প্রয়োজনে মানুষ সেখানে রাত্রিযাপনও করতেন।
আর এখানকার দায়িত্বশীল যারা ছিলেন, তারাই মুসাফিরদের খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তাই কোনো মুসাফির পবিত্র শবে বরাতে এসব স্থানে রাত্রি যাপন করলে হয়তো তিনি সারারাত ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাতেন ও পরের দিন রোজা রাখতেন। যেহেতু স্বাভাবিকভাবে হালুয়া-রুটি ও গোশত-রুটি খাওয়া সুন্নাত, তাই তারা হালুয়া, রুটি, গোশত ব্যবস্থা করতেন সচরাচর। এ ছাড়াও আরব এলাকার লোকদের প্রধান খাদ্য রুটি-হালুয়া বা রুটি-গোশত। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া-রুটির প্রচলন আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। (আত্তাহযীব মিনাল বিদা)
ইসলামের ইতিহাস যারা বিশ্লেষণ করেন, তাদের অনেকেই মনে করেন যে বাংলাদেশের সমাজ বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহর অংশ। শবে বরাতের সময় হালুয়া-রুটি বানানো। বিতরণ করার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয়ার একটি সম্পর্ক আছে। আনন্দের ভাগটা অন্যদের দেয়ার জন্যই বিতরণ করার রেওয়াজটা হয়েছে। এর সঙ্গে ধর্মীয় অনুভূতি এবং সামাজিকতা রক্ষা- দুটো বিষয় জড়িত আছে। আবার রাসূল (সা.) যেহেতু মিষ্টি খেতে পছন্দ করতেন। তাই তার উম্মতও মিষ্টি খাওয়াকে সুন্নত মনে করেন। আর এই পবিত্র দিনে মিষ্টি খাওয়া বাড়তি সুন্নত আদায় করা। এটি ভেবেই অনেকে মিষ্টির আয়োজন করে। মিষ্টি বা মিষ্টান্নর মধ্যে হালুয়া অন্যতম এক উপকরণ হতে পারে। এভাবেই বাংলাদেশ ভূখণ্ডে শবে বরাত পালনের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় ১৯শ’ শতকের শেষের দিকে।
- জানা গেল এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ
- সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- পরিবারের হাল ধরতে চেয়ে হয়ে গেলেন বোঝা
- ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- সকালে খালি পেটে পানি পান করছেন, জানুন ৯ সুফল
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জে ২৭ জনের মনোনয়ন দাখিল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা উপলক্ষে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন
- গরমে ঘামাচির যন্ত্রণা? দ্রুত মুক্তির জন্য করণীয়
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- ৫৩ বছর বয়সে জীবনসঙ্গী খুঁজছেন মনীষা
- ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিক মালিকের পরিবারভুক্ত
- `নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে`
- সরকারি গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
- সংসদ অধিবেশন চলবে ৯ মে পর্যন্ত
- ভারত-বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর বন্যার তথ্য আদান-প্রদান শুরু
- চিরিরবন্দরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
- গঙ্গাচড়ায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- সাদুল্লাপুরে ট্রাক চাপায় পাওয়ার টিলার চালকের মৃত্যু
- পীরগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার-২
- চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
- রাজারহাটে ১২জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ
- দিনাজপুরে তীব্র গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর
- পীরগাছায় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু
- ফুলবাড়ীতে লাউ গাছের একটি ডগায় ১৮ লাউ
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান