৭ই মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২১
Find us in facebook
মো. কামরুল আহসান তালুকদার
১৯৫২ থেকে শুরু করে ১৯৬২, ৬৬, ৬৯ এর আন্দোলন এবং সবশেষে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরও পশ্চিম পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রে সারাদেশ যখন উত্তাল, সেই অস্থির সময়ে বঙ্গবন্ধু জানালেন তাঁর স্থির ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত যা ছিল হাজার বছরের বাঙালির প্রাণের স্বপ্ন।
বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার অমোঘমন্ত্র, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম কবিতা। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ মাত্র ১৯ মিনিটের এই কালজয়ী ভাষণে বঙ্গবন্ধু সারা দেশের মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে দিয়েছিলেন। তাঁর সেই আবেগতপ্ত ভাষণ বাঙালি জাতির মর্মমূলে ছড়িয়ে দিয়েছিল মুক্তির স্বপ্ন, সংগ্রামের সুদৃঢ় প্রতিজ্ঞা। এই স্বপ্ন ও সাহস বুকে নিয়েই বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষ জীবন-রক্ত-সম্ভ্রম দিয়ে স্বাধীন করেছেন দেশ। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রে ভিত্তিমূল, উজ্জ্বল প্রেরণাভূমি।
কিন্তু ১৯৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশে বারবার ইতিহাসের বিকৃতি ঘটেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রকৃত ইতিহাস লুকিয়ে রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তারা ধূলিস্যাৎ করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালিয়েছে। অপচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজন দেশের সর্বস্তরে বিশেষত নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়তে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। চেতনার এই অবকাঠামো নির্মাণ যত দৃঢ় হবে, উন্নয়নের অবকাঠামো তত টেকসই হবে। আর এ ক্ষেত্রে ৭ই মার্চের ভাষণের চর্চা ও সম্প্রসারণ এক অনিবার্য প্রসঙ্গ।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিকশিত করার লক্ষে ২০১৭ সালে ময়মনসিংহের ভালুকায় ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে ভাষণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। চার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ই মার্চের ভাষণের সিডি ও মুদ্রিত পাঠ বিতরণ করা হয়। একইসাথে জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ বরাবর যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের লক্ষে ৭ই মার্চের ভাষণকে 'জাতীয় ভাষণ' এবং ৭ই মার্চকে 'জাতীয় ভাষণ দিবস' ঘোষণা করার অনুরোধ সম্বলিত চিঠি প্রেরণ করা হয়। ইউনেস্কো কর্তৃক ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ১০ মাস আগে এ অনুরোধপত্র প্রেরণ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর চর্চা করার সুযোগ সৃষ্টি, বঙ্গবন্ধুর অনুকরণে ভাষণ দেয়ার চেষ্টা, প্রতিবছর ৭ই মার্চের ভাষণ উৎসবের আয়োজন প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে প্রথম আয়োজন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়মিত চর্চা, হাজারো শিক্ষার্থীর ১৯ মিনিটের ভাষণ পুরোপুরি মুখস্থ বলতে পারা এবং বিশেষ করে ছাত্রীরা যেভাবে ভাষণটি চর্চা করেছে এবং ভাষণ উৎসবে প্রথম হয়েছে তা সারা বাংলাদেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অনন্য এ উদ্যোগের জন্য ২০১৮ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো. কামরুল আহসান তালুকদার ব্যক্তিগত শ্রেণীতে জাতীয় জনপ্রশাসন পদক লাভ করেন।
১৫ অক্টোবর, ২০২০ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৬২৫ নং স্মারকের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে প্রদত্ত ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে। দূরদর্শী এ সিদ্ধান্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যেমন সেকালের বাঙালিকে আবেগে-সংগ্রামে-সাহসে প্লাবিত করেছে, তেমনি আজও এই ভাষণ যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার করে তোলে। বিশ্বের যেকোনো দেশের মুক্তি সংগ্রামে এই ভাষণ তাই প্রেরণার অনির্বান শিখা। আর এ কারণেই ৭ই মার্চের স্বীকৃতি পরম আনন্দের এবং গর্বের। ভালুকার ৫ লাখ মানুষ আর লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর হৃদয়ের গহ্বরে লুকায়িত স্বপ্ন এবং প্রত্যাশার বাস্তবায়নের জন্য ভালুকার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। ৭ মার্চের ভাষণ অনুশীলন ছড়িয়ে পড়ুক দিগন্ত থেকে দিগন্তে। মহাকালের তর্জনীর ইশারায় আজও আমরা সকল রক্তচক্ষুকে মোকাবিলার শক্তি, সাহস সঞ্চয় করি। ৭ মার্চ আমাদের অনন্ত প্রেরণার বসন্ত বাতাস।
লেখক: উপসচিব, পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব।
- জানা গেল এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ
- সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- পরিবারের হাল ধরতে চেয়ে হয়ে গেলেন বোঝা
- ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- সকালে খালি পেটে পানি পান করছেন, জানুন ৯ সুফল
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জে ২৭ জনের মনোনয়ন দাখিল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা উপলক্ষে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন
- গরমে ঘামাচির যন্ত্রণা? দ্রুত মুক্তির জন্য করণীয়
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- ৫৩ বছর বয়সে জীবনসঙ্গী খুঁজছেন মনীষা
- ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিক মালিকের পরিবারভুক্ত
- `নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে`
- সরকারি গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
- সংসদ অধিবেশন চলবে ৯ মে পর্যন্ত
- ভারত-বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর বন্যার তথ্য আদান-প্রদান শুরু
- চিরিরবন্দরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
- গঙ্গাচড়ায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- সাদুল্লাপুরে ট্রাক চাপায় পাওয়ার টিলার চালকের মৃত্যু
- পীরগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার-২
- চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
- রাজারহাটে ১২জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ
- দিনাজপুরে তীব্র গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর
- পীরগাছায় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু
- ফুলবাড়ীতে লাউ গাছের একটি ডগায় ১৮ লাউ
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান