• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

জলাতঙ্কে মারা গেল গরু, খামারী পেলেন ৮০ হাজার টাকা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় গরু। তবে এখন থেকে গরু মারা গেলে খামারীকে অর্থ সহযোগীতা দিচ্ছে প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। যক্ষ্মা, জলাতঙ্ক, তড়কা এবং ব্রুসেলোসিস এই চার রোগে আক্রান্ত হয়ে গরুর মৃত্যু হলে এই সহযোগীতা পাবে খামারী বা গরু পালনকারী।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারী পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার একজন গরু পালনকারী পেয়েছেন ৮০ হাজার টাকা সহযোগীতা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের মাধ্যমে তাকে এই সহযোগীতা প্রদান করেছে প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়।

তবে এই টাকা তিনি অন্য কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে তাকে পুণঃরায় গরু কিনতে হবে। যা তদারকির দায়িত্বে আছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।

ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার কাদিমনগর গ্রামের গরু পালনকারী সুধান কুমার সাহা (৩৬)। গত জানুয়ারী মাসে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে সংকর জাতের তার একটি গরু মারা যায়। বিষয়টি তিনি উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে জানান।

দপ্তরটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ওই খামারীর বাড়িতে গিয়ে মারা যাওয়া গরুটির মাথা কেটে সংরক্ষণ করে। গরুটি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে কিনা, তা পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করা গরুর মাথাটি ঢাকার সেন্ট্রাল ডিজিজ ইনভেস্টিগেশন ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। এটি প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের নিজস্ব ল্যাব।

দেড় মাস পর ল্যাব পরীক্ষার ফলাফল আসে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে। পরীক্ষায় ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর ক্ষতিগ্রস্থ ওই গরু পালনকারীকে একটি ব্যাংক একাউন্ট চালু করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রাণী সম্পদ দপ্তর সেই ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার মন্ত্রনালয়ে পাঠায়। গত আগস্ট মাসে সরাসরি সেই একাউন্টে সহযোগীতার ৮০ হাজার টাকা পান গরু পালনকারী সুধান কুমার সাহা।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের তথ্য বলছে, এই উপজেলায় এখনও পর্যন্ত জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনটি গরু মারা যাওয়ার খবর তারা পেয়েছেন। খবর পাওয়ার সাথে সাথে মারা যাওয়া সেসব গরুর মাথা সংক্ষরণ করেছেন তারা। যা পরীক্ষার জন্য ঢাকার সেন্ট্রাল ডিজিজ ইনভেস্টিগেশন ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে একটির ফলাফল পজেটিভ আসায় গরুর মালিক অর্থ সহযোগীতা পেয়েছেন। বাকি দুইটির মধ্যে একটির ফলাফল নেগেটিভ এসেছে এবং বাকি একটির ফলাফল এখনও আসেনি।

ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিল্পব কুমার দে বলেন, সারা দেশেই এই প্রকল্প চলমান আছে। ওই চার রোগে গরু মারা যাওয়ার খবর পেলেই আমরা নমুনা হিসেবে গরুটির মাথা সংগ্রহ করি পরীক্ষার জন্য। নমুনা সংগ্রহের ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমরা ল্যাবে পাঠাই তা পরীক্ষার জন্য। এসব রোগে গরু মারা গেলে সহযোগীতা পাবার ক্ষেত্রে গরুটির বয়স কমপক্ষে ১ বছর হতে হবে। দেশী গরু হলে খামারী বা গরু পালনকারী ৪০ হাজার এবং সংকর জাতের গরু হলে ৮০ হাজার টাকা সহযোগীতা পাবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here