• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে ইলিশের বিচরণ বাড়তে পারে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রজনন সময়ে মা-ইলিশ শিকার বন্ধ রাখতে সরকার ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশের নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে মা-ইলিশের বিচরণ বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মাছ শিকারের এ নিষিদ্ধ সময়ে কুড়িগ্রামের ইলিশ জেলেদের মধ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১শ’ ৮৭ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। মৎস্য বিভাগের তালিকাভুক্ত জেলেদের মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার দুস্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবী এই চাল পাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) কালিপদ রায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলাকে ইলিশ জোনভুক্ত করা হয়। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে জেলার ইলিশ জেলেদের জন্য প্রণোদনা হিসেবে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল দেওয়া শুরু হয়। তখন থেকে প্রতিবছর খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন ইলিশ জেলেরা।

মৎস্য বিভাগ জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার ৩৬৬ জন তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ উপজেলার ( সদর, নাগেশ্বরী, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) ৭ হাজার ৫০০ দুস্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে মাথাপিছু ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে মাছ আহরণে বিরত রাখতে পারলে ইলিশ প্রজননে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে সারাবছর ইলিশের দেখা মেলে না। শুধু ইলিশের প্রজনন মৌসুমে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ইলিশের মূল বিচরণ স্থলগুলোতে মাছ শিকার বন্ধ থাকলে এবং নদীতে পানির পর্যাপ্ত প্রবাহ থাকলে তখন বিনা বাধায় কিছু ইলিশ কুড়িগ্রামের নদনদীতে চলে আসে। সে সময় স্থানীয় জেলেদের জালে এসব ইলিশ আটকা পড়ে। আবার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা বাজার থেকে উচ্চ মূল্যে ইলিশ কিনে খেতে পারেন না বলে ইলিশ পাওয়ার খবরে নদীতে অনেক মৌসুমি জেলের বিচরণও দেখা যায়।

মৎস্য বিভাগ জানায়, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোতে পানির প্রবাহ থাকায় চলতি বছর কিছুটা আগে থেকে জেলার নদ-নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে। গত ১৫-২০ দিন আগে থেকে বাজারে সীমিত পরিমাণে স্থানীয়ভাবে শিকার করা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছিল। ফলে এ বছর প্রজনন মৌসুমের এই সময়টাতে জেলার নদ-নদীতে ইলিশের আগমন আগের সময়ের তুলনায় বেশি হবে বলে আশা প্রকাশ করছে মৎস্য বিভাগ।

ডিএফও কালিপদ রায় বলেন, ‘ইলিশের মূল বিচরণস্থল ভাটির নদ-নদীগুলোতে অভিযানের সাফল্য, নদীর গভীরতা ও পানিপ্রবাহের ওপর কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোতে ইলিশের আগমন নির্ভর করে। তবে এ বছর আমাদের জেলার নদ-নদীগুলোতে কয়েকদিন আগে থেকে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ফলে আশা করা যাচ্ছে এ বছর কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে তুলনামূলক বেশি সংখ্যায় ইলিশের আগমন ঘটতে পারে।’

ডিএফও আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বাজার অভিযান শুরু করেছি। মা-ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকতে জেলেদের সচেতন করাসহ নদ-নদীগুলোতে নিয়মিত অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

Place your advertisement here
Place your advertisement here