• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

বিয়ের নাটক সাজিয়ে শারীরিক সম্পর্ক, অতঃপর বাবা-ছেলে আটক

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

নীলফামারীর জলঢাকায় কবিরাজি চিকিৎসার সময় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীকে ধর্ষণ-নির্যাতনের মামলায় মিজানুর রহমান (৫০) ও তার ছেলে মনিবুর রহমানকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসার কারণে কিছুদিন আগে উপজেলার খুটামারা এলাকার ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় পৌরশহরের বগুলাগাড়ী ব্রীজপাড়া এলাকার কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমানের। এক পর্যায়ে কবিরাজি চিকিৎসার মাধ্যমে বশ করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন মিজানুর রহমান। এরপর ওই নারীকে বিয়ের কথা বললে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে শারীরিক সম্পর্ক ও নির্যাতন করেন তিনি।

এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ভাড়া বাসায় যাওয়া ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মিজানুর রহমান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ভুক্তভোগী ওই নারী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একাধিকবার যোগাযোগ করেও কথিত স্বামী মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় তার বাড়িতে যান ভুক্তভোগী নারী। এসময় কবিরাজ মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা শারীরিক নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বাড়ির বাইরে টেনে এনে কবিরাজের ছেলে মনিবুর রহমান ভুক্তভোগী নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী জ্ঞান হারালে সেখানে রেখেই পালিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হলে ইন্নত চিকিৎসার জন্য জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবীর বলেন,‘‘ভুক্তভোগী নারীর মা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। ওই মামলায় কবিরাজ মিজানুর ও তার ছেলেকে আটক করা হয় এবং মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।’’

Place your advertisement here
Place your advertisement here