ঠাকুরগাঁওয়ে ঔষধ কিনতে গিয়ে রক্তাক্ত হলেন ক্রেতা

ঔষধ কিনতে গিয়ে এমএন মেডিকেল স্টোরের কর্মচারীদের হাতে রক্তাক্ত হলেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের বিএ ১ম বর্ষের ছাত্র জামাল। আহত ওই ছাত্র সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের গোয়ালপাড়া মহল্লার জামাল বাবু সোমবার রাতে ঔষধ কিনতে যায় শহরের চৌরাস্তায়। এক দোকান থেকে ৩’শ টাকা দিয়ে হাই-বি নামে একটি সিরাপ কিনেন। ঐ ঔষধ হাতে নিয়ে মামাতো ভাই বাদলের সাথে কালিবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় এমএন মেডিকেল স্টোরের কর্মচারীরা ওই ছাত্রের হাতে ঔষধ দেখে জানতে চায় এই ঔষধ কোথা থেকে কিনেছেন? তার উত্তরে বলে চৌরাস্তায় একটি দোকান থেকে। কত টাকা দিয়ে কিনেছেন? ৩’শ টাকা দিয়ে। দোকান কর্মচারীরা তাদের হাতে ৫’শ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে আরেকটি ঔষধ এনে দাও? এতে তারা রাজী না হলে এলোপাথারি মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে চিকিৎসাধীন।

জামাল আরও জানায়, তিন দিন আগে ওই ঔষধ ১’শ ৬০ টাকা দিয়ে কিনেছি। ৩দিন পরে সেই ঔষধ ৩’শ টাকায় কিনতে হলো। আবার ঔষধের গাঁয়ে এমআরপি মূল্য দেয়া আছে ৩’শত পঞ্চাশ টাকা। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন আব্দুল মালেক বলেন আমরা সব কিছুতে জিম্মি হয়ে গেছি। কিছু কিছু ঔষধে এখন দ্বিগুন লাভ নিচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে এমএন মেডিকেল স্টোরের মালিক হামিদুল হক বলেন আমার দোকানের কর্মচারীদের সাথে এধরনের ঘটনা ঘটেনি। মা মেডিকেল স্টোরের সাথে ঘটনাটি ঘটেছে। মা মেডিকেল স্টোরের কাউকে পাওয়া যায়নি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরু ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ওই ছেলে আমাদের এক পুলিশ সদস্যের ছেলে। আমার হাতে লিখিত অভিযোগ আসলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও ড্রাক এসোসিয়েশন এমআরপি মূল্য অনুযায়ী সকল ঔষধ বিক্রির জন্য আন্দোলন করে আসছিল। এ নিয়ে ঔষধ বিক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ চলে আসছিল।