• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক: মাহবুবুল আলম হানিফ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয়, শত বছরের ঘোর নিশীথিনীর তিমির বিদারী অরুণ, ইতিহাসের বিস্ময়কর নেতৃত্বের কালজয়ী স্রষ্টা, বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। বাঙালি জাতির পিতা।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) কুষ্টিয়া জেলা শিল্প কলা একাডেমিতে বজ্রকণ্ঠের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মাশালায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনা অবিনশ্বর। বাঙালি জাতির অস্থিমজ্জায় মিশে আছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিবাদর্শে শানিত বাংলার আকাশ-বাতাস জল-সমতল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবহমান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি মর্যাদাবান ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।

১৫ আগস্ট ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত দিন। বাঙালির হৃদয় ভাঙা বেদনার দিন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। যিনি তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির মুক্তির জন্য, বাঙালির স্বাধিকারের জন্য।

ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ অনেককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করে।

অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আ.ক.ম সরোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক হাজী রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, মাজহারুল আলম সুমন, বজ্রকণ্ঠ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার গৌরব চাকীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here