• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক দুর্বলতার অভিযোগ!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

সাংগঠনিক ব্যর্থতা, সংগঠনকে গোছানোর নামে অযাচিত কালক্ষেপণ, তৃণমূল রাজনীতিতে হতাশার বীজ বপন ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়নে চরম ব্যর্থতার প্রমাণ দেয়ায় বিএনপির মহাসচিবের পদ পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। গুঞ্জন উঠেছে, মির্জা ফখরুলের প্রতি নাখোশ হয়ে তরুণ, জনপ্রিয়, ক্ষিপ্ত ও অনুগত কোনো নেতাকে মহাসচিব বানাতে চান বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। 

দলীয় সূত্র মতে, খুব দ্রুতই মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিতে, মহাসচিব পদে দীর্ঘ সময় পেলেও দল গোছাতে ব্যর্থ হয়েছেন মির্জা ফখরুল। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আঁতাত করে দল গোছানোর নামে কালক্ষেপণ করে বিএনপিকে বিভ্রান্তিতে রেখেছেন মহাসচিব। তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্য ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া লন্ডন থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়, সেগুলোর যথোপযুক্ত বাস্তবায়ন করেন না মির্জা ফখরুল। তিনি তারেক রহমানের প্রতি পুরোপুরি অনুগত নন। 

এছাড়া মির্জা ফখরুলকে মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দিতে যৌক্তিকতা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে গোপনে চিঠি দিয়েছেন স্থায়ী কমিটির ৬ জন সিনিয়র নেতা। 

গুঞ্জন উঠেছে, গোপন এই চিঠির কারণেই কপাল পুড়তে যাচ্ছে মির্জা ফখরুলের। আর মহাসচিবের পদ থেকে বিতাড়িত হওয়ার গুঞ্জন চাউর হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন মিস্টারকুল খ্যাত মির্জা ফখরুল।

বিতাড়িত হওয়ার আগেই শারীরিক অসুস্থতা, বিদেশযাত্রা ও অন্যান্য অজুহাত দেখিয়ে সসম্মানে মহাসচিবের পদ থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছেন তিনি।

মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বলছে, মহাসচিবের ব্যর্থতায় তার নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে দলের দুই শীর্ষ নেতাকে দেয়া চিঠির কারণে পদ হারাতে পারেন মির্জা ফখরুল। আর এমন গুঞ্জন তৃণমূল পর্যন্ত ডালপালা মেলেছে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন মির্জা ফখরুল। তাই সম্মান রক্ষার্থে মহাসচিব পদ থেকে বিতাড়িত হওয়ার আগেই অজুহাত দেখিয়ে পদ ছাড়ার পথ খুঁজছেন তিনি। যদিও তার ইচ্ছা ছিলো আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন। কিন্তু মান-সম্মানের প্রশ্ন চলে আসায় তিনি আগেভাগেই পদ ছাড়ার সুযোগ খুঁজছেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন নেতা। তিনি আলাপ-আলোচনায় বিশ্বাসী, দলীয় কর্মসূচি পালনে নয়।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন সজ্জন ব্যক্তিত্ব হলেও সংগঠক হিসেবে তিনি ব্যর্থ। বিএনপির মতো এত বড় দল চালানো এবং মেইনটেন্স করতে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ। আর তারই ব্যর্থতার কারণে দল থেকে নিজেই সরে যাওয়া উচিৎ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here