• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুরে প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

সারাদেশের মতো টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রংপুর নগরীর জনজীবন। সকাল থেকেই শুরু হয় প্রখর রোদ। একটু প্রশান্তির আশায় নগরীর মানুষজন রোদ থেকে বাঁচতে গাছের ছায়া কিংবা শীতল স্থানে ছুটছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ ও সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, বিকেল ৩টার সময় রংপুরের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তাপমাত্রা কম থাকলেও গত তিন চারদিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রী পর্যন্ত ওঠানামা করছে। ভোরের দিকে তাপমাত্রা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। এটি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেই এ পরিস্থিতি কেটে যাবে।

এদিকে প্রচণ্ড রোদের কারণে ঘর-বাড়ি তপ্ত হয়ে আছে, রাস্তা থেকে গরম বাতাস গায়ে লাগে। বাড়িতে কিংবা অফিসে ফ্যানের বাতাসও প্রাণ জুড়াচ্ছে না। সবমিলিয়ে রংপুর নগরীসহ জেলার সর্বত্র গরমে অস্বস্তির মাত্রা বেড়েছে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন কর্মজীবী মানুষজন। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে ঠান্ডা পানীর। রাস্তার মোড়ে মোড়ে এবং ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আখের রস, লেবু ও ফলের শরবত খেয়ে শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছেন অনেকে। অন্যদিকে চাহিদা বেড়েছে ডাবের পানির। অনেককেই নগরীর শেখ রাসেল সুইমিং পুলে সন্তানদের নিয়ে নেমেছেন গোসলে। আবার গ্রামের প্রায় শ্যালো মেশিনে গোসল করতে দেখা গেছে উঠতি বয়সের তরুণদের।

সুইমিং পুলে গোসল করতে আসা এরশাদুল হক রঞ্জু বলেন, বাসায় প্রচন্ড গরমের কারণে খারাপ লাগায় মেয়েসহ সুইমিং পুলে এসেছি। এখানে কিছুক্ষণ গোসল করায় এখন ভালো লাগতেছে।

অন্যদিকে শ্যালো মেশিনে গোসল করা প্রসঙ্গে রাব্বি জানান, শ্যালো মেশিনের পানি টিউবওয়েলের পানি থেকেও ঠান্ডা। তাই শ্যালো মেশিনে গোসল করছি। খুবই ভালো লাগছে। শ্যালো মেশিনের পানিতে প্রাণ যেন জুড়িয়ে গেলো।

নগরীর টাউনহল চত্বরে রিকসাচালক মমতাজ রহমান বলেন, অন্যদিনের থেকে আজকে গরম বেশি। গরমের কারণে অটোরিকশা চালানো যাচ্ছে না। এত গরমের মাত্রা এতো যে, বসার সিট পর্যন্ত গরম হয়ে যাচ্ছে। তীব্র রোদের কারণে রাস্তায় টেকাই যাচ্ছে না।

আদালত চত্বর এলাকায় দেখা যায়, অনেকেই সিরিয়াল ধরে আখের রস খাচ্ছেন। কথা হয় দবীর মিয়ার সঙ্গে তিনি জানান, মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য সাইকেল চালিয়ে এসেছেন তিনি। পানির প্রচন্ড পিপাসা লাগায় আখের রস খাচ্ছেন তিনি।

নগরীর খটখটিয়া এলাকার দিনমজুর রমজান আলী (৫০) বলেন, এবার বৈশাখের শুরুতেই প্রচন্ড গরম। দুপুরের কড়া রোদের মধ্যে কোন কাজ করতে পারছি না। তাই কাজের ফাঁকে গাছের নিচে বসে দম নিচ্ছি”। একই কথা জানান, ৪২ বছর বয়সী দিনমজুর আনিছুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন। রোদের তাপে কাজ করা খুবই কষ্টকর হলেও পেটের দায়ে কাজ করতে হয় বলে জানান তারা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here