• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বিথীর অনুপ্রেরণায় রংপুরের নারীরা শিখছে ক্রিকেট 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে রংপুরের নারীরা। ওমেন ড্রিমারস ক্রিকেট একাডেমি রংপুরের ফাউন্ডার আরিফা জাহান বিথী। পেশায় তিনি একজন নারী ক্রিকেটার। স্বপ্ন পূরণ করেছেন অনেক মেয়ের ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছাকে।

বিভিন্ন বাধা বিপত্তি ছাড়িয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের একজন বড় নারী ক্রিকেটার। বাংলাদেশের এমন মানুষকে কম পাওয়া যাবে যে এ নারীর নাম শুনেনি। শুধু তাই নয় তিনি একজন সমাজ সেবক।

বিভিন্ন অসহায় ও গরিব দুঃখী মানুষদের মাঝে তুমি হাসি ফুটিয়ে তোলেন। করোনার লকডাউনে তিনি মানুষের  বাড়িতে বাড়িতে বিনামূল্যে খাবার পাঠিয়ে দিতেন। মানুষদের তিনি বিভিন্নভাবেই সহায়তা করতেন এবং করেনও। কিন্তু তাকে এ সফলতা ও এই সুন্দর জীবন পেতে অনেক বাধা-বিপত্তি বেরিয়ে আসতে হয়েছে। শুনতে হয়েছে লোকের নানান কথা। এইচএসসি পরীক্ষার পর বিথীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। বরের অপেক্ষায় সেজেগুজে বসেছিলেন বিথী। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে খবর এল এই বিয়ে আর হচ্ছে না।

বিয়ে ভাঙার পর ক্রিকেটটাকেই নিয়েই আছেন আরিফা। পরিবার থেকে প্রথমে বাধা ছিল। কিন্তু সবাইকে বুঝিয়েছেন, মেধাবী ও অসচ্ছল মেয়েদের ক্রিকেট শেখাতেই তাঁর এই উদ্যোগ। আরিফার হাত ধরে এখন প্রায় ২৫০ জন মেয়ে উইমেন্স ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমি থেকে ক্রিকেটের হাতেখড়ি নিচ্ছে। তাদের সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে সাহায্য করছে এই একাডেমি।

শুধু রংপুর নয় সারা বাংলাদেশের মেয়েদেরকে তিনি ক্রিকেট খেলার জন্য উৎসাহ জাগিয়েছেন যাদের ক্রিকেট খেলার প্রতি প্রবল আগ্রহ।  তাই তো  তিনি ২০১৯ সালে ৩০ জন মেয়েকে নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করলেন। ২৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে শুরু হলো ‘উইমেন্স ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমি’র যাত্রা। মেয়েদের জন্য বিনা মূল্যে ক্রিকেট শেখার প্রথম একাডেমি এটাই।

নূরপুর এলাকায় মা-বাবা-ভাইকে নিয়ে থাকেন আরিফা। বাবা মফিজুল ইসলাম একটি তেলপাম্পে চাকরি করতেন। সেই চাকরিও চলে গেছে। মা মাজেদা বেগম গৃহিণী। বড় ভাই অটোরিকশাচালক। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। ছোট ভাই নবম শ্রেণিতে পড়ছে বিনা মূল্যের ইউনিসেফ স্কুলে। আরিফা বোঝেন অভাবের কষ্ট। তিনি জানেন, টাকা দিয়ে ক্রিকেট শেখার মতো অবস্থা নেই অনেক মেয়েরই। কিন্তু নিজের স্বপ্নটা শত শত মেয়ের মধ্য দিয়ে পূরণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন আরিফা। অভাব–অনটনের সংসারে কষ্টের সঙ্গে লড়ে বড় হয়েছেন। নিজের পড়ালেখার পর্যাপ্ত বইখাতাও ছিল না। বন্ধুবান্ধবসহ অন্যের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়েছেন। সেই আরিফা এখন পড়ছেন সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের মানবিক বিভাগে, ডিগ্রি শ্রেণির শেষ বর্ষে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here