• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

তীব্র শীত উপেক্ষা করে তিস্তার চরে কাজ করছেন শ্রমজীবীরা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

মাঘের শীতে বাঘ কাঁদে-গ্রামবাংলায় প্রচলিত এই প্রবাদ ভেঙে এবার পৌষের শুরুতেই হাড় কাঁপানো শীত রংপুরে জেঁকে বসেছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে দিনভর পথঘাট ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। শীতের কারণে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। শৈতপ্রবাহের কারণে শ্রমজীবীদের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখে গেছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা যায়নি দুদিন ধরে। শৈতপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশা এবং কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। তীব্র শীতে অনেকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

তবে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা তিস্তার চরে আলু ক্ষেতে কাজ করছেন। আলু ক্ষেতে কাজ করা শ্রমজীবী জালাল মিয়া জানান, হামারগুল্যাক শীত আর গরম আছে বাহে, প্যাটের টানে কাম হামাক করাই নাগে। হামার গুল্যার খবর কায় আখে, শীতোত হামরা মরি যাই, চরত কায়্যইও কম্বল দেয় না, হামরা চরের মানুষ খড়কুটা জালেয়া ছাওয়া পোয়া নিয়া আগুন পোহাই। শীতত কাম-কাজে খুবই অসুবিধা হয় হামার।

শীত উপেক্ষা করে চরের অনেকেই কাজের সন্ধানে বের হলেও তীব্র শীতের কারণে কাজ পান না অনেক শ্রমিকেরা।

কাউনিয়া ঢুসমারা চরের আলী আকবর জানান, দিনের তুলনায় রাতে জার অনেক বেশি। এই জারে চরাঞ্চলের দমকা হাওয়ায় পরিবার নিয়া খুব কষ্ট। তবুও হামরা জারের ভয় না করিয়া খেতত কাজ করি। কোনমতে জীবন বাঁচা নিয়া কতা। হামার দামি দামি জার কাটার কাপড়ও নাই, কায়ো দেয়ও না হামারগুল্যাক।

চরাঞ্চালের অনেকেই জানান, শীতের দাপটে বেশি সমস্যায় শিশু ও বয়স্করা। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here