• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুরে নকল ব্যান্ডরোল উদ্ধার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের বিড়ি শিল্প নগরী কাউনিয়ার হারাগাছে এক কোটি ৩৮ লাখ টাকার জাল ব্যান্ডরোল ও নকল বিড়ি উদ্ধার করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার পশ্চিম পোদ্দার পাড়া গ্রাম থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা একেএম খায়রুল বাসার জানান, বিড়ি কারখানায় সরবরাহ করার জন্য পশ্চিম পোদ্দাপাড়া গ্রামে একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ জাল ব্যান্ডরোল মজুদ করা হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে হারাগাছ সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তারা ওই গ্রামে অভিযান চালায়।

এ সময় স্বপন প্রামানিক, নয়ন প্রমানিক ও সবুজ প্রামানিকের বসতঘর থেকে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার ৬২০ টাকার ১৫ লাখ ১৮ হাজার জাল ব্যান্ডরোল এবং ৮৪ হাজার শলাকা আকিজসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল বিড়ি উদ্ধার করা হয়। তবে কাস্টমসের উপস্থিতি টের পেয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। 

জাল ব্যান্ডরোল ছাপানো ও সরবরাহকারী তিন ভাই পৌরসভার পশ্চিম পোদ্দার পাড়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতে হারাগাছ সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রমোদ চন্দ্র রায় বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। 

বিভাগীয় কর্মকর্তা আরো জানান, জাল ব্যান্ডরোল সরবরাহকারী চক্রের একাধিক সদস্যরা জেলার বাইরে থেকে জাল ব্যান্ডরোল ছাপিয়ে এনে দীর্ঘদিন ধরে হারাগাছ পৌর এলাকা, ভিতরকুঠি, গংগাচড়া, মর্নেয়া, দর্জিপাড়া, ডেলকোটারী, মালিয়াটারী, নতুনবাজার, মেনাজবাজার, মিয়াপাড়া, ঠাকুরদাশ, বাংলাবাজার, বানুপাড়া, গুলাইবুদাই, চাদকুটি, সতবাজারসহ বিভিন্ন বিড়ি কারখানায় মালিকদের কাছে সরবরাহ করতো। এতে করে চক্রটি মোটা অংকের টাকা আয় করতো। 

অন্যদিকে বিড়ি কারখানার মালিকরা জাল ও ল্যুজ ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে তারা প্রতি বছর প্রায় কয়েক শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিতো। 

বিভাগীয় কর্মকর্তা আরো জানান, জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার রোধে কাস্টমসের বিভাগীয় প্রিভেন্টিভ টিম মাঠে রয়েছে। হারাগাছসহ জেলার যে কোনো এলাকায় জাল ব্যান্ডরোল সরবরাহকারী ও ব্যবহারকারী কেউ ছাড় পাবে না। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাল-ল্যুজ ব্যান্ডরোল ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারী জড়িতদের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে ও জাল-ল্যুজ ব্যান্ডরোল ব্যবহার রোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

হারাগাছ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী অফিসার মমিনুল ইসলাম জানান, কাস্টমসের অভিযানের পর পরই অভিযুক্ত তিনজনেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here