• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

সঙ্গীর প্রতি সন্দেহ দূর করতে যা করবেন 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

একটি সম্পর্কের ভীত হচ্ছে বিশ্বাস। আর সেটি একবার ভেঙে গেলে সম্পর্কে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তা দূর করা খুবই কঠিন। অনেক সময় সন্দেহ থেকে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। সুখের সংসারে ওঠে ভাঙ্গনের সুর।  
বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের অন্তর্বর্তী যে নেতিবাচক চিন্তা ও অনুভূতি আমাদের যন্ত্রণা বা কষ্টের কারণ হয়ে দাড়ায়, তার নাম সন্দেহ। সঙ্গীর সন্দেহে ভিত্তি থাকতে পারে, নাও পারে। যে কারণেই সন্দেহ তৈরি হোক, তা আমাদের মানসিকতায় চাপ সৃষ্টি করে। একটি সম্পর্ক সুন্দর রাখার ক্ষেত্রে আগ্রহী এবং যত্নশীল হতে হবে উভয়পক্ষকেই।  

চলুন আপনার সঙ্গীর প্রতি সন্দেহ কীভাবে সহজেই দূর করতে পারেন তা জেনে নেয়া যাক- 

ভালোবাসা প্রকাশ না করলে 
অনেকেই আছেন তার ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেন না। যখন তখন ভালোবাসার মানুষকে ‌‌‌‌‘ভালোবাসি’ বলে উঠতে পারেন না। এতে অপরপক্ষের মনে নানা সংশয় জাগতে পারে। আপনার মনেও যদি ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে এমন সংশয় থাকে তবে তা দূর করার চেষ্টা করুন। এমনও হতে পারে তার ভেতর কোনো জড়তা কাজ করছে বা সে কিছুটা সময় নিতে চাচ্ছে। তাই অযথা দুশ্চিন্তা করে সময় নষ্ট না করে তাকে আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। ভবিষ্যতের জন্য দুশ্চিন্তা করে বর্তমানটা নষ্ট করবেন না।

আপনার খোঁজ কম নেয়
ঘণ্টায় ঘণ্টায় সঙ্গীর খোঁজ নিচ্ছেন। কেউ আবার এটি পছন্দ করেন না। ফোন না করার কিংবা না ধরার থাকতে পারে অনেক কারণ। ফোনে তাকে পাচ্ছেন না মানেই যে সে আপনাকে অবহেলা করছে এমনটা ধরে নেবেন না। হতে পারে সে সত্যিই ব্যস্ত। তাই বারবার ফোন না করে অপেক্ষা করুন। আর যদি সে দিনের পর দিন ফোন না দিয়ে বা কোনোরকম খবর না জানিয়ে থাকে তবে ধরে নেবেন সত্যিই সে আপনাকে এড়িয়ে চলতে চাইছে। এমনটা হলে নিজেকে সম্মান জানিয়ে সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসুন। আপনি যদি নিজেকে দামী ভাবেন তবে অন্য কেউ গুরুত্ব না দিলেও কষ্ট পেতে হবে না। 

অন্যের সামনে খারাপ আচরণ
অন্যের সামনে সে কি আপনার সঙ্গে হঠাৎ খারাপ আচরণ করছে? এমন হতে পারে সে কোনো কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! হয়তো সে অন্যের সামনে একরকম থাকে, আপনার সঙ্গে আরেকরকম। সবার সামনে হয়তো সে আপনার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে না। দুই রকম আচরণকে মেলাতে গিয়ে সে হিমশিম খাচ্ছে। এমনটা হতেই পারে। তাই প্রথমেই ক্ষেপে না গিয়ে কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। মনে রাখবেন, সুন্দরভাবে আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেককিছুই সমাধান করা সম্ভব।

সারাক্ষণ ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকলে
সম্পর্ক একঘেয়ে হয়ে পড়লে তা কাটিয়ে ওঠা জরুরি। কীভাবে বুঝবেন সম্পর্ক একঘেয়ে হয়ে পড়েছে? দুজন যখন পাশাপাশি থাকেন বা একসঙ্গে সময় কাটান তখনও কি সে স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে? আপনার থেকেও সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশি গুরুত্ব দিলে বুঝবেন সম্পর্ক পানসে হয়ে গেছে। তাই এই একঘেয়েমি কাটানোর চেষ্টা করুন। মানুষ সম্পর্কে জড়ায় মানসিক শান্তির জন্য। সেই শান্তিটুকু না পেলে সম্পর্ক তখন বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সেই বোঝা বয়ে নেয়া আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই বিষয়েও সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলুন। নিজেরা গল্প করুন। একসঙ্গে কোনো সিনেমা দেখতে পারেন কিংবা সঙ্গীর কোনো কাজে সহযোগিতা করুন। এতে পুরো সময়টাতে একে অন্যের সঙ্গে থাকতে পারবেন। 

সঙ্গী যদি খুব বেশি উদাসীন থাকে
একজন মানুষ সব সময় আপনার সঙ্গে একই আচরণ করবে না বা একই ধারণা পোষণ করবে না। মানুষের মনে একেক সময়ে একেক রকম চিন্তা, আবেগ, অনুভূতি খেলা করে। আর সেসবেরই প্রকাশ করে তার আচরণ। আপনি তাকে ভালোভাবে বুঝতে পারলে তার চিন্তাগুলোর সঙ্গেও পরিচিত হতে পারবেন। তাই এরকম আচরণ দেখলে দুশ্চিন্তা না করে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সত্যিই কোনো সমস্যা খুঁজে পান তবে তার সমাধান বের করুন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here