• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী এবং বর্তমান নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শাহ আলমের অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিলায়েন্স ফিন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবালের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) নানা অপকর্মের নেপথ্যে এ দুজন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন-বুধবার এমন জবানবন্দি আদালতে দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুজনের অনিয়ম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পলাতক আছেন পিকে হালদার। শাহ আলম এতদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাকে এ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে (ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ও ডিপোজিট ইন্সুরেন্স বিভাগ এবং স্পেশাল স্টাডি সেল) দেওয়া হয়। 

জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টি আমলে নিয়েছেন আদালত, সেহেতু তারা যদি আমাদের কাছে তথ্য চেয়ে নোটিশ পাঠায়, তাহলে অবশ্যই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আদালতে যেহেতু এজাতীয় একটা কথা বলা হয়েছে, এর উপর ভিত্তি করেও আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করব। পাঁচ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী এখানে কাজ করে। তাদের মধ্যে কেউ যদি অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে সেসহ বাংলাদেশ ব্যাংকেরও মান ক্ষুণ্ন হয়। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে স্টাফ ল অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জবানবন্দিতে রাশেদুল বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য অবসরে যাওয়া ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীকে ‘ম্যানেজ’ করে পিকে হালদার অর্থ লোপাট করেছেন।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিআইএফএম (ডিপার্টমেন্ট অব ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড মার্কেটস) বিভাগের উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিমাসে দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হতো।

এই টাকা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্যাশ হিসাবে উত্তোলন করে ‘বিবিধ’ খরচ দেখানো হতো। যাতে ঘুসের টাকার কোনো প্রমাণ না থাকে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক ও রেজা গ্রুপের চেয়ারম্যান শহিদ রেজা পিকে হালদারের প্রধান সুবিধাভোগী ছিলেন বলেও জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। পিকে হালদার ও রেজা লোপাট করা অর্থ ভাগবাঁটোয়ারা করে নিতেন।

পিকে হালদারের আরও ১৪ সহযোগীকে দুদকে তলব: আর্থিক খাতে কেলেঙ্কারির হোতা প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের আরও ১৪ সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান নোটিশ দিয়ে বৃহস্পতিবার তাদেরকে ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দুদকে হাজির হতে বলেছেন। 

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ভুয়া কোম্পানির নামে হাজার কোটি টাকা ঋণ তুলে আত্মসাতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তলব করা হয়েছে।

তারা হলেন-আরবি এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর রতন কুমার বিশ্বাস, আর্থস্কোপ লিমিটেডের এমডি প্রশান্ত দেউরি, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নিউট্রিক্যাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার মিস্ত্রি, ওয়াকামা লিমিটেডের চেয়ারম্যান সুব্রত দাস, ওয়াকামা লিমিটেডের পরিচালক সুভ্রা রাণী ঘোষ ও তোফাজ্জ্বল হোসেন, ওয়াকামা লিমিটেড উত্তম পরিচালক কুমার মিস্ত্রি, কোলাসিন লিমিটেডের এমডি অতশী মৃধা, হাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এমডি সুস্মিতা সাহা, জিএন্ডজি এন্টারপ্রাইজের মালিক গোপাল চন্দ্র গাঙ্গুলী, দ্রিনান অ্যাপারেলসের এমডি মোহাম্মদ আবু রাজিব মারুফ, কণিকা এন্টারপ্রাইজের মালিক রাম প্রসাদ রায় এবং ইমেক্সোর মালিক ইমাম হোসেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here