বিলাসবহুল জাহাজে ১৩ দিনে বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণ!
দৈনিক রংপুর
প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৮
Find us in facebook
সমুদ্রের নীল জলরাশি ও দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের মিতালি দেখতে দেখতে হারিয়ে যেতে কার না ভালো লাগে! তাইতো মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেয় প্রমোদতরীতে।
সবচেয়ে ভালো উদাহরণ ইউরোপের দানিউব বা রাইন নদীর বুকে জাহাজ ভ্রমণ। সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে এ যেন স্বর্গ ভ্রমণ! কী নেই প্রমোদতরীগুলোতে? আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসহ রয়েছে আমোদ-প্রমোদের নানা ব্যবস্থা। এমন অনেক জাহাজ রয়েছে, যেগুলোতে একটি উন্নত শহরের সব সেবা পাওয়া যায়। প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে এসব আধুনিক জাহাজে ভ্রমণ সারাবিশ্বে জনপ্রিয়।
বাংলাদেশি পর্যটকদের এই আয়েশের জন্য যেতে হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। খরচ মাত্রাতিরিক্ত হবার কারনে জাহাজ ভ্রমণ অনেকের কাছে শুধুই স্বপ্ন ছিলো। কম খরচে এবার সেই স্বপ্ন বাস্তব হচ্ছে। কলকাতা থেকে সুন্দরবন হয়ে ঢাকা অভিমুখী বিলাসবহুল ‘ভিভাডা ক্রুজ’-এ পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন দুই বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদীমাতৃক জীবন, বাঘের অভয়ারণ্য সুন্দরবন, বন্যপ্রাণী ও বনভূমি। ভাগ্যে থাকলে মিলতে পারে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাক্ষাৎ!
কলকাতা থেকে শুরু হয়ে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের গা ঘেঁষে বরিশাল হয়ে চাঁদপুরে ইলিশের জন্য থেমে ১৩ দিনের মাথায় সোনারগাঁও ছুঁয়ে ঢাকায় নোঙর ফেলবে বিলাসবহুল এই প্রমোদতরী। আগামী মার্চ থেকেই মিলবে এই সুবিধা। ১৩ দিনের জন্য জনপ্রতি খরচ হবে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। তবে শর্ত একটাই, উভয় দেশের যাত্রীদের অবশ্যই পাসপোর্ট ও বৈধ ভিসা থাকতে হবে। বাংলাদেশের শ্বেতবাড়িয়া বা আংটিহারে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করা হবে। অন্যদিকে ভারতীয় দিকে উত্তর ২৪ পরগণার হেমনগরে ইমিগ্রেশন করা হবে। এই ভ্রমণসূচিতে কি থাকছে এবার জেনে নেয়া যাক!
প্রথম দিন
কলকাতার ভিভাডা জাহাজ-ঘাটায় চেক-ইন।
দ্বিতীয় দিন
দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির, ব্রিটিশ গভর্নরের বাসস্থান ব্যারাকপুর, ডেনিশ উপনিবেশ শ্রীরামপুর, ফরাসি উপনিবেশ চিনসুরা, পর্তুগিজ শাসনামলের ডাচ বাণিজ্য বন্দর ভ্রমণ। সময় থাকলে কলকাতার ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ইউরোপীয় ৫টি বাণিজ্যস্থল ঘুরে আসতে পারেন।
তৃতীয় দিন
খুব ভোরে উঠেই কালনা টেরাকোটা মন্দির ভ্রমণ। এরপর থাকছে কলকাতার শান্তিপুরের তাঁতিদের গ্রাম ঘুরে দেখা। সারাদিন সেখানে কাটানোর পর সন্ধ্যায় ফিরতে হবে জাহাজে।
চতুর্থ দিন
গল্প শুনতে শুনতে পায়ে হেঁটে কিংবা গাড়িতে চড়ে কলকাতা ঘুরতে পারবেন এদিন। গল্প শুনতে কোনো খরচ হবে না, জাহাজ থেকেই গল্পকথকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি গল্প ভালো না লাগে তবে এড়িয়ে যেতে পারেন।
পঞ্চম দিন
পঞ্চম দিনটিই সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চকর। কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে জীববৈচিত্র্য উপভোগ করার দিন শুরু এদিন সকাল থেকেই। সুন্দরবন গ্রামে ঢুকে কৃষি জমি, মাছভর্তি পুকুর, বাড়িঘর ও বাজার ভালোভাবে দেখার সুযোগ মিলবে পঞ্চমদিনে।
ষষ্ঠ দিন
সুন্দরবনের হেমনগরে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে এদিনের অর্ধেক সময় পার হয়ে যাবে। বাকি সময় সুন্দরবনের বুক চিরে ঘুরে বেড়াবেন।
সপ্তম দিন
মংলা বন্দরের দিকে বাঘের অভয়ারণ্যের বাংলাদেশ অংশ ঘুরে দেখাবে এদিন। ঘন বনাঞ্চল ও প্রশস্ত নদী আর খালের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি চাইলে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদেও যেতে পারবেন।
অষ্টম দিন
এদিন সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বনে পায়ে হেঁটে ঘুরতে হবে। এজন্য পাড়ি দিতে হবে কাদা। তবে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করবেন না, সঙ্গে থাকবে সশস্ত্র রক্ষী। সারাদিন সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য উপভোগের পর সবশেষে সৈকতে বিশ্রাম।
নবম দিন
সুন্দরবন থেকে জাহাজ যেতে থাকবে বরিশালের দিকে। পথে হরিণঘাটার বাঘের অভয়ারণ্যে দেখার সুযোগ মিলবে।
দশম দিন
স্বরূপকাঠির ভাসমান হাটের কথা তো সবারই জানা। পেয়ারা, ফলমূল, সবজি ও ফুলের এই বাজারের জন্য জেলাটি সুপরিচিত। ভ্রমণ তালিকায় এটিও থাকছে।
একাদশ দিন
ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে পৌঁছাবে জাহাজ। নাশতার পর মাছের আড়ত ঘুরে সরাসরি বেচাকেনা দেখবেন পর্যটকরা। সেদিন আপনার পাতে অবশ্যই ইলিশ থাকবে।
দ্বাদশ দিন
অবিভক্ত বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁওয়ে যাবে জাহাজ। সেইসাথে পানাম সিটিও ঘুরে দেখা হবে।
ত্রয়োদশ দিন
জাহাজ থেকে চেক-আউট করতে হবে পর্যটকদের। ঢাকার হোটেলে উঠবেন পর্যটকরা। শহরের স্মৃতিস্তম্ভ, মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখবেন পর্যটকরা। এদিনও আপনার সাথে থাকবে একজন গল্পকথক!
তারপরদিনই ঢাকা থেকে চেক-আউট। এরপর সোনারগাঁও, চাঁদপুর, স্বরূপকাঠি, বরিশাল, হরিণঘাটা, সুন্দরবন, মংলা বন্দর, বাগেরহাট, আংটিহারা, হেমনগর, সুন্দরবন গ্রাম, কলকাতা, টেরাকোটা মন্দির ও শান্তিপুর, দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির হয়ে কলকাতায় জাহাজ-ঘাটায় গিয়ে চেক-আউট করবেন পর্যটকরা।
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- সকালে খালি পেটে পানি পান করছেন, জানুন ৯ সুফল
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জে ২৭ জনের মনোনয়ন দাখিল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা উপলক্ষে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন
- গরমে ঘামাচির যন্ত্রণা? দ্রুত মুক্তির জন্য করণীয়
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- ৫৩ বছর বয়সে জীবনসঙ্গী খুঁজছেন মনীষা
- ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিক মালিকের পরিবারভুক্ত
- `নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে`
- সরকারি গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
- সংসদ অধিবেশন চলবে ৯ মে পর্যন্ত
- ভারত-বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর বন্যার তথ্য আদান-প্রদান শুরু
- চিরিরবন্দরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
- গঙ্গাচড়ায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- সাদুল্লাপুরে ট্রাক চাপায় পাওয়ার টিলার চালকের মৃত্যু
- পীরগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার-২
- চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
- রাজারহাটে ১২জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ
- দিনাজপুরে তীব্র গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর
- পীরগাছায় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু
- ফুলবাড়ীতে লাউ গাছের একটি ডগায় ১৮ লাউ
- বোদায় ইস্তিকার নামাজ আদায়
- রংপুরে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ বিষয়ক কর্মশালা
- কুড়িগ্রামে পথচারীদের পানি-স্যালাইন বিতরণ পুলিশের
- কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
- তীব্র তাপদাহে উলিপুরে দিনমজুরের মৃত্যু
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান