• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

প্রায়োগিক বিদ্যাশিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে- উপাচার্য

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ বলেছেন, চতুর্থশিল্প বিপ্লব কী ধরণে আসবে তা আমাদের কাছে এখনো পরিস্কার নয়; তবে এটা প্রযুক্তি নির্ভর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে সামাজনীতি, অর্থনীতিসহ জনমানুষের জীবন মান উন্নয়নে প্রভাব পড়বে। প্রতিযোগিতামূলক এই বিপ্লবে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রায়োগিক বিদ্যা শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। 

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ভবনে আয়োজিত ‘স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায়’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের সহযোগিতায় সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তর এবং এ-টু-আইসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে। 

উপাচার্য আরো বলেন, বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ এর টার্গেট এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এরজন্য সকল কাজে ডিজিটালাইজেশন করা দরকার। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এখন ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল সিস্টেমে অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়গুলোর মধ্যে একমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কার্যক্রমও অনলাইনে হবে। এই লক্ষ্যেই আমরা সেন্টার ফর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। 
 
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আঞ্চলিক পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, জনগণকে উদ্দেশ্য করেই রুপকল্প ২০৪১-এ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা করা হয়েছে। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এদেশের জনগণ সহজেই সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াতে এগিয়ে আসার জন্য তিনি তরুণ সমাজের প্রতি আহবান জানান। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সেন্টার ফর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন-এর পরিচালক ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ শরিফুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. বিজন মোহন চাকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

মেলায় তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। আগ্রহী চাকুরি প্রার্থীগণ পছন্দমতো আবেদন, সাক্ষাৎকার এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর সংক্ষিপ্ত তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। 

এছাড়া মেলায় দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্ভাবন, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিংসহ তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেমিনার ও আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন খাতে ক্যারিয়ার গড়ার পরামর্শ পেয়েছেন ছাত্রছাত্রী এবং চাকুরীপ্রার্থী তরুণ-তরুণীরা। 

কর্মসংস্থানের পেছনে নয়, বরং প্রার্থীর দোরগোড়ায় কর্মসংস্থানের উপস্থিতির এমন আয়োজন সরকারের বেকারত্ব হ্রাসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ আবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here