• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

১৩ নভেম্বরঃ হাতিয়া গণহত্যা দিবস

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন। ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর হাতে প্রাণ হারায় ৬৯৭ নিরীহ গ্রামবাসী। স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও তাদের মেলেনি রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি, হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলোও পায়নি স্বজন হত্যার বিচার।

১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর রাতে হাতিয়া অনন্তপুর গ্রামে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের মিথ্যা তথ্যে পাক হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা সেখানে স্বশস্ত্র অবস্থান নেয়। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই তারা একে একে বাগুয়া অনন্তপুর, রামখানা, মন্ডলেরহাট, নয়াদাড়া, নীলকণ্ঠ ও দাগারকুঠি গ্রামের নারী-পুরুষকে ধরে এনে সারিবদ্ধ করে নির্বিচারে গুলি চালায়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে বেয়ানট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহগুলোকে আগুনে ফেলে দেয়।

পরদিন এলাকাবাসী দাগারকুটি গ্রামেই ৬৯৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গণকবর দেয়। গণকবর ও স্মৃতিস্তম্ভটি ইতিমধ্যেই ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানান্তরিত স্মৃতিস্তম্ভটি এখন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে।

শহীদদের স্মরণে অনন্তপুর বাজারের পাশে নতুন করে নির্মাণ করা হয় আরো একটি স্মৃতিস্তম্ভ।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার গ্রামবাসীদের শহীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, স্মৃতিস্তম্ভে নামফলক স্থাপন ও শহীদ পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে এগিয়ে আসবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা শহীদ পরিবারসহ সকলের।

Place your advertisement here
Place your advertisement here