• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ পরাজয় জেনে পাকবাহিনী বাড়িয়ে দেয় নৃশংসতার মাত্রা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর খুলনা শিপ ইয়ার্ডে শত্রুর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। আজকের দিনে মুক্ত হয় ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ। যৌথবাহিনীর ছত্রীসেনারা নামে নরসিংদীর রায়পুরায়। যৌথবাহিনীর অভিযানে দিনাজপুর, রংপুর ও সৈয়দপুরের পাকবাহিনীর এক দল আরেক দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের এই সময়ে একদিকে এগিয়ে চলছিল মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয়রথ। অন্যদিকে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকবাহিনীও বাড়িয়ে দিয়েছিল তাদের নৃশংসতার মাত্রা। রাজধানী ঢাকা ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে বাড়তে থাকে লাশের মিছিল। 

যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না অনুমান করে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা এদেশের কৃতী সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করে। ঢাকার শান্তিনগরের চামেলীবাগে নিজের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় দৈনিক ইত্তেফাকের তৎকালীন কার্যনির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে। তার লাশ আর পাওয়া যায় নি। আর এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার নতুন এক অধ্যায়। 

এদিকে, মিত্রবাহিনীর জঙ্গী বিমান ঢাকা বেতারকেন্দ্র ও কুর্মিটোলা বিমানবন্দরের উপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখে। সেসময় পৃথিবীর শক্তিশালী সেনাবাহিনী বলে আত্মঅহমিকায় ভুগতে থাকা পাকহানাদারদের কাছে ‘মুক্তি’ শব্দটি হয়ে উঠে এক আতঙ্কের নাম। পরাজয়ের আশঙ্কায় লেফটেনেন্ট জেনারেল নিয়াজি পালাতে চেষ্টা করলে বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে তা ফাঁস হয়ে যায়। 

মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনী ঢাকা ঘেরাও করে পাকবাহিনীকে আত্মসমর্পন করার জন্যে আহবান করে। গভর্ণর হাউজে (বর্তমান বঙ্গভবন) বোমা ফেলার কারণে গভর্ণর মালেকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের পদলেহী সরকারও ইতিমধ্যে পদত্যাগ করে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল (বর্তমান হোটেল শেরাটন) আশ্রয় নেয়। সময় থাকতে শান্তিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়ে আকাশ থেকে অনবরত লিফলেট ফেলা হতে থাকে।

এদিন গভর্নর মালিকের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ও মুখ্য সচিব পশ্চিম পাকিস্তানি অফিসার মুজাফফর হোসেন ক্যান্টনমেন্টে জেনারেল নিয়াজির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং ঢাকায় জাতিসংঘের প্রতিনিধির কাছে ‘আত্মসমর্পণের’ আবেদন হস্তান্তর করেন। এতে অবশ্য কৌশলে আত্মসমর্পণ শব্দটি বাদ দিয়ে অস্ত্রসংবরণ কথাটি ব্যবহার করা হয়। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here