• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

হাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। 

সকাল সাড়ে ৮টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীরা কালো ব্যাচ ধারণ করে প্রভাত ফেরীতে অংশ নেয়। প্রভাত ফেরী শেষে উপাচার্য শহীদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হাবিপ্রবি শাখা)-এর নেতৃবৃন্দ ও কর্মচারীগণ। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০টি সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপাচার্য মহোদয়ের বাণী পাঠ ও বিতরণ করা হয়। 

ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য তার বাণীতে বলেন, “আমাদের জাতীয় চেতনা ও ঐতিহ্য বিকাশে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য অপরিসীম। একুশে ফেব্রুয়ারি একদিকে যেমন শোক ও বেদনার, অন্যদিকে তেমনি শক্তি ও প্রেরণার। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মায়ের ভাষা ‘বাংলা’ ও স্বতন্ত্র সংস্কৃতি। ভাষা আন্দোলন আমাদের অন্তরে যে চেতনা ও শক্তি যুগিয়েছিল সেটিই পরবর্তীতে প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামকে বেগবান করে তোলে। ২১’র আন্দোলনের পথ বেয়েই এগিয়ে গেছে আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন। এর চূড়ান্ত ফসল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ”।

সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম। এরপর শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আয়োজনে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক  ড. মু. আবুল কাসেম।  এছাড়া, বাদ জু’ম্মা ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
 

Place your advertisement here
Place your advertisement here