• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

হাতীবান্ধায় জমা করা টিফিনের টাকা পাঠাগারে দিলেন দুই শিক্ষার্থী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমা করা টিফিনের টাকা দিয়ে লিডার্স ক্লাব পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রে ফ্যান কিনে দিয়েছেন সিদরাতুল মুনতাহা অনামিকা ও জান্নাতুল ফেরদৌসী। পাঠাগারে মোট ৪টি সিলিং ফ্যান কিনে দেয় তারা। সিদরাতুল মুনতাহা অনামিকা হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকার আব্দুর রাজ্জাক দোলনের মেয়ে ও জান্নাতুল ফেরদৌসী পার্শ্ববর্তী পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া জমগ্রাম এলাকার আজিজার রহমানের মেয়ে। সিদরাতুল মুনতাহা অনামিকা ও জান্নাতুল ফেরদৌসী হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে হাতীবান্ধা লিডার্স ক্লাব পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রে গিয়ে ক্লাবের অফিস তত্বাবধায়ক সাইফুল ইসলাম আলমের হাতে ফ্যানগুলো তুলে দেন তারা।

সিদরাতুল মুনতাহা অনামিকা জানান, বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। করোনাকালীন সময় আমি বই পড়ে সময় কাটিয়েছি। বাই পড়া আমার এক প্রকাশ নেশায় পরিণত হয়েছে। কলেজ বন্ধ থাকায় আমি কিছু টাকা জমা হয়েছিলো। আর সেই টাকা দিয়ে আমি লিডার্স ক্লাব পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রে কিছু বই ও ফ্যান কিনে দেই।

একই কথা বলে আরেক শিক্ষার্থী বান্ধবী জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, অনামিকা পাঠাগারে বই কিনে দিয়েছে। এই বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে। আর তাই আমরা দুজন কথা বলে জমানো টাকা একত্রে করে ৪টি ফ্যান কিনে দেই।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা লিডার্স ক্লাব পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের অফিস তত্বাবধায়ক সাইফুল ইসলাম আলম  বলেন, অনামিকা এরআগেও পাঠাগারে কিছু বই কিনে দিয়েছে। আর এবার অনামিকা ও জান্নাতুল ফেরদৌসী ৪টি ফ্যান কিনে দিলো। আমরা তাদেও প্রতি কৃতজ্ঞ।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা লিডার্স ক্লাব পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাগর  বলেন, তারা দুইজন যে কাজটি করলো সেটি সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। তাদরে উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করছি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here