• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

হত্যার কিনারা দিল নিহতদের চুল ও কানের দুল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

মা-মেয়ে হত্যার রহস্য নিয়ে পুলিশের ঘুম হারাম। হত্যাকাণ্ডের কোনো কিনারা মিলছে না। হঠাৎ হত্যার কিনারা দিল নিহতদের চুল ও কানের দুল। এ দুটি বস্তুর সূত্র ধরে বের হয়ে আসে মা-মেয়ে হত্যার পুরো ছক।-খবর আনন্দবাজার পত্রিকা। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ১৮ ফেব্রুয়ারি নদীর পাড়ে কিছু জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি মরদেহ পুড়তে দেখে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তারা। তবে দুটি মরদেহ শনাক্তের অবস্থায় থাকেনি। মরদেহ দুটি কয়লায় পরিণত হলেও একজনের কিছু সোনালী ও সবুজ রঙের চুল এবং কানের দুল পাওয়া যায়।

পরে ময়নাতদন্ত করলে জীবিত অবস্থায় দুইজনকে পুড়ানোর বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এদিকে দুটি মরদেহ শনাক্তের কোনো সূত্র পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে চুল ও কানের দুলে লেখা এসজেপি ও কেডিএম ধরে এগোয় পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় দুলের মালিক সম্পর্কে কিছু তথ্য দেন এক ব্যক্তি। সেই সূত্রে নিউ ব্যারাকপুরের মা-মেয়ের সন্ধানে নামে পুলিশ।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মা-মেয়ে লাপাত্তা ও পুড়ানোর ঘটনার দিন মিলে যায়। এরপর স্থানীয়দের কাছ থেকে মা-মেয়ের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়। তাদের মোবাইল ট্র্যাক করে ১৭ তারিখ রাতে হলদিয়াতে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। ওই সময় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়। এছাড়া স্থানীয়রা মা-মেয়ে দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানায়।

মা-মেয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা নম্বরের মালিককে খোঁজে বের করে পুলিশ। ওই নম্বরের মালিক সাদ্দাম হোসেন হাতে ক্ষত নিয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রথমে এড়িয়ে গেলেও ফোনালাপের কথা জানাতেই সব খুলে বলেন সাদ্দাম। সাদ্দাম জানান, ম্যাসাজ পার্লারে যাতায়াতের সুবাধে মেয়ে রিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়। নিজে বিবাহিত হলেও রিয়াকে বিয়ের আশ্বাস দেন তিনি। এক পর্যায়ে মা-মেয়ে সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দেন।

পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেন মা-মেয়ে। তাই মা-মেয়েকে হত্যা করত ছক কষেন তিনি। এর অংশ হিসেবে ডেকে অচেতন পানীয় খাইয়ে তাদের পুড়িয়ে মারেন সাদ্দামসহ তার সহযোগীরা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here