• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

স্মার্টফোনের সাহায্যেই রক্তের হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করা যাবে!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

সিরিঞ্জভর্তি রক্ত দেয়া সবার কাছেই এক আতঙ্ক বটে। অনেকেই তো আছেন এই ভয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে চান না। তবে এখন ব্যক্তির চোখের পাতায় স্মার্টফোন ধরেই পরীক্ষা করা যাবে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। রক্তে হিমোগ্লোবিন বা অক্সিজেন বহনকারী লোহিত রক্তকণিকার প্রোটিনের মাত্রা নির্ধারণে মার্কিন গবেষকরা এমনই এক উপায় বের করেছেন।  

অপটিকা সাময়িকীতে এই গবেষণা বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ল্যাব টেস্টের সবচেয়ে পরিচিত এ পরীক্ষাটি রক্ত নেয়া ছাড়াই স্মার্টফোনের মাধ্যমে করা যাবে। এতে সরাসরি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে। এছাড়া জটিল পরিস্থিতির রোগীকে পর্যবেক্ষণ সহজ হবে। 

যুক্তরাষ্ট্রের পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়ং কিম বলেছেন, রক্তের হিমোগ্লোবিনের স্তর, কিডনি সমস্যা ও রক্তক্ষরণ শনাক্তকরণের জন্য বা সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার মতো রক্তরোগ মূল্যায়নের জন্য নতুন মোবাইল স্বাস্থ্য পদ্ধতি কাছে বা দূরবর্তী পরীক্ষার পথ সুগম করতে সক্ষম হবে।

গবেষণা দলটি একটি স্মার্টফোনের অন্তর্নির্মিত ক্যামেরাকে হাইপার স্পেকট্রাল ইমেজারে রূপান্তর করতে সফটওয়্যার ব্যবহার করেছিলেন। যা কোনো হার্ডওয়্যার পরিবর্তন বা আনুষঙ্গিক প্রয়োজন ছাড়াই হিমোগ্লোবিন স্তরকে নির্ভরযোগ্যভাবে পরিমাপ করে। পরীক্ষামূলক প্রকল্পে দেখা গেছে, রক্ত পরীক্ষার চেয়ে এ পদ্ধতিতে ভুলের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে।

স্পেকট্রাল সুপার-রেজুলেশন স্পেকট্রোস্কোপি পদ্ধতি ব্যবহার করে গবেষকরা এই বিশ্লেষণের একটি মোবাইল স্বাস্থ্য সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। এতে সফটওয়্যারটি ছবিকে কম রেজুলেশন সিস্টেমে রূপান্তর করতে পারে। এরপর গবেষকেরা সংবেদনশীল সাইট হিসেবে অভ্যন্তরীণ চোখের পাতা পর্যবেক্ষণ করেন।

গবেষকেরা সুপার রেজুলেশন এলগরিদম ও বিশেষ কম্পিউটেশনাল অ্যালগরিদম কাজে লাগিয়ে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্ণয় করেন। দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে পরীক্ষার পরে গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইলেও রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব। 

গবেষক কিম বলেন, ডেটা-কেন্দ্রিক পদ্ধতির সঙ্গে এখনকার স্মার্টফোনে বিল্ট-ইন সেন্সরগুলোর সংমিশ্রণ এসব ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং গবেষণা আরো দ্রুততর করতে পারে।  

সূত্র: আইএএনএস

Place your advertisement here
Place your advertisement here