• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে- দুদক চেয়ারম্যান

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)  চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন করোনাভাইরাসের কারণে দুর্নীতিপরায়ণদের প্রতি নমনীয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেছেন, করোনা মহামারী শুরুর সময়ই স্বাস্থ্যসামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ নিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর এসেছে। এসব অনিয়মের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কমিশন নির্মোহভাবে আইনি দায়িত্ব পালন করবে। 

গতকাল দুদকের পরিচালক  (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ইকবাল মাহমুদ বলেন, যে কোনো ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে দুদক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। স্বাস্থ্য খাতের ক্রয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি বা প্রতারণার খবর এসেছে। কমিশন এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন সংরক্ষণ করছে। এ ছাড়া কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্র হটলাইন-১০৬ এ স্বাস্থ্য খাতের বেশকিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকন্তু কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিটকেও এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কমিশন নির্মোহভাবে আইনি দায়িত্ব পালন করবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশন গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক টিমও কাজ করেছে। 

গত বছর কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। কমিশন মনে করে এ প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি-অনিয়ম প্রতিরোধ সহজ হবে। ক্যাসিনোকান্ডে কমিশনের বিবেচনাধীন অনুসন্ধান বা তদন্তে শিথিলতা এসেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরাও গণমাধ্যমে এ জাতীয় খবর দেখছি। 

তবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে পারি, কমিশন ক্যাসিনোকান্ডে যেসব অভিযোগ আমলে নিয়েছে সেসব বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্তে শিথিলতার কোনো সুযোগ  নেই। করোনার কারণে অপরাধীদের প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। করোনার কারণে হয়তো অনুসন্ধান বা তদন্ত সম্পন্ন করতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বাসায় বসেই কাজ করতে বলা হয়েছে। তারাও নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমরা আশা করছি তদন্ত সম্পন্ন করেই অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here