• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

স্বামী ছেড়ে সন্তান নিয়ে থাকেন যে তারকারা

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

তারকাদের মধ্যে এমনই অনেক মা-ই আছেন, যারা সিঙ্গেল মা হিসেবে সন্তানকে লালন-পালন করেন। তাদের কেউ বিধবা, আবার কেউ ডিভোর্সি। তবু সন্তানকে বড় করার জন্য একাই হয়ে উঠছেন সন্তানের বাবা-মা। তারা বাবার মতো কঠিন হয়ে সন্তানদের শাসন করেন আবার মায়ের মতো স্নেহ দিয়ে তাদের দুঃখ ভুলিয়ে রাখেন। তাদের একজন হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি ‘সিঙ্গেল মা’ হয়ে সন্তান লালন-পালন করেন, সে খবর আমরা হলিউড মূল্লুক থেকে শুনেছি।
তবে অবাক হওয়ার কিছুই নেই, আমাদের দেশেও রয়েছে এমন অনেক তারকা। যারা ‘সিঙ্গেল’ থেকেই সন্তান পালন করছে।

আজ ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জানাবো সে সব সিঙ্গেল মা-দের খবর, যাদের সংসার ভেঙে গেছে। কিন্তু সন্তানদের আগলে রেখেছে পরম মমতায়। তারা ‘সিঙ্গেল মা’ পরিচয় বহন করে সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার সংগ্রামের গল্প বুনছেন। সামাজিক বা পরিবারিক সংগ্রামের ভেতর দিয়ে মাতৃত্বকে আরো গর্বিত করেছেন।

ববিতা চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা ববিতা। তার ছেলে অনিক ইসলামের বয়স যখন মাত্র তিন বছর (ঘটনা ১৯৯৩ সালের ১০ জানুয়ারি) তখনই তার স্বামী ইফতেখারুল আলম মারা যান। এরপর থেকে ববিতা তার একমাত্র ছেলে অনিককে নিয়েই আছেন।

স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে অনিককে মানুষ করাই ছিল তার একমাত্র কাজ। একদিকে অভিনয়, অন্যদিকে সংসার-সন্তান সামলানো এসব তিনি করেছেন। কীভাবে সম্ভব হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে ববিতা বলেন, অনিক যখন ছোট, তখন ঢাকার বাইরে কোনো শুটিং করতাম না। এফডিসি বা ঢাকার মধ্যে যে কাজগুলো হয়েছে, সেগুলো করেছি।

ধীরে ধীরে অনিক বড় হয়েছে। তখন বাইরে কাজ করতাম। কিন্তু সারাক্ষণ ছেলের খবর রাখতাম। খেয়েছে কি না? স্কুল থেকে ফিরে বিশ্রাম নিয়েছে কি না? স্কুলের পড়া ঠিকমতো হলো কি না? এমনকি বাসায় কোন শিক্ষকের কাছে পড়বে? তার সবই আমি ঠিক করতাম।

আমার ছেলেও ভীষণ ভালো ছিল। সে অতটুকু বয়স থেকেই আমাকে বোঝতো। ও লেখাপড়ায় বেশ ভালো। সে তার উচ্চতর শিক্ষাটা কানাডা থেকে নিয়েছে। আমি বারো মাস ওর সঙ্গে কানাডা না থাকতে পারলেও ওর জন্মদিন সহ বিশেষ দিনগুলোতে ওর কাছে থাকার চেষ্টা করি।

জাকিয়া বারী মম জাকিয়া বারী মম। তার সংসার ভেঙেছে আরো অনেক আগেই। জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা এজাজ মুন্নার সঙ্গে ছিল তার প্রথম সংসার। সে ঘরে এসেছে মম’র ছেলে উদ্ভাস। স্বামীকে ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলেও মম আজো আগলে রেখেছেন সন্তানকে। এখন ছেলে উদ্ভাসের বয়স আট। সে পড়াশুনা শুরু করেছে। মম বলেন, আমার বাচ্চাটা আহ্লাদের কৌটা হয়েছে। খুব বুঝদার।

আমি শুটিংয়ে থাকলেও ওর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করি। আর ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই। ছেলেকে নিয়েই থাকি সারাক্ষণ। ওর ভবিষ্যতের জন্যই এখন আমিই যথেষ্ট। আমি ছাড়া’তো ওর দেখভালের আর কেউ নেই। ওকে আমি মানুষের মতো মানুষ করতে চাই।

বাঁধন বাঁধন। ২০১০ সালে বিয়ে করেছিলেন এই লাক্স সুন্দরী। বিয়ের চার বছরের মাথায় সংসারের ইতি টানেন তিনি। এরপর স্বামীর ঘর ছেড়ে বাবার বাসায় ওঠেন। এখন তার মেয়ে মিশেল আমানী সায়রাকে নিয়েই তার পৃথিবী। মেয়ের বয়স সাড়ে ছয় বছর হয়েছে। পড়াশুনা করছে সানবিমস স্কুলে।

মেয়েকে নিয়ে বাঁধন বলেন, আমিই ওর বাবা আর আমিই ওর মা। আমার পরিচয়েই ও বড় হবে। ও যখন ছোট ছিলো তখন আমি অভিনয়ই ছেড়ে দিয়েছিলাম। সারাক্ষণ বাসায় মেয়েকে সময় দিতাম। এখন ও অনেকটা বড় হয়েছে। ওকে একটু কম সময় দিলেও হয়।

আর আমার মা-বাবা আমাকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করে। তারাই ওর দেখভাল করে। এখন আমার শুটিং না থাকলে পুরো সময়টা ওকেই দেই। আমাদের মা মেয়ের ভীষন বন্ধুত্ব। তাছাড়া ও এখন আমার গার্জিয়ান বলা চলে। আমার মন খারাপ হলে গলা ধরে এসে আমাকে বুঝায়।

সোহানা সাবা জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা। নির্মাত মুরাদ পারভেজের সঙ্গে তার প্রেম এবং বিয়ে। সে সংসারও সুখের হয়নি। ছেলে স্বরবর্ণের জন্মের ১৭ মাস পরেই তারা আলাদা হয়ে যান। এখন ছেলে মায়ের সঙ্গেই থাকেন। সাবার সন্তান পালনের ক্ষেত্রে তার মায়ের অবদানই বেশ। যখন শুটিং কাজে ব্যস্ত থাকেন তখন নানীর সঙ্গে সময় পার করে স্বরবর্ণ।

সারিকা জনপ্রিয় মডেল সারিকা। ২০১৬ এর নভেম্বরেই স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় তার। এর আগে, ২০১৪ সালের আগস্টে ব্যবসায়ী মাহিম করিমের সঙ্গে বিয়ে সেরেছিলেন সারিকা। বিয়ের এক বছরের মাথায় সারিকার কোলে আসে এক কন্যাসন্তান। মেয়ের নাম রেখেছেন শাহরিশ আন্নাহ। ডিভোর্সের পর সন্তানকে নিয়েই তার পৃথিবী সাজিয়েছেন সারিকা। অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও সন্তানকে যথেষ্ট সময় দেন সারিকা। অনেকটা মেয়ের কারণেই মিডিয়া থেকে নিজেকে আলাদা রাখেন বলেও শোনা গেছে। তবে ইদানিং সারিকা আবারো অভিনয়ে সরব হয়েছেন, পাশাপাশি শুটিং শেষ করে বাসায় সন্তানকেও সময় দিচ্ছেন।

সালমা ক্লোজ আপ তারকা সালমা। গত বছরের শুরুর দিকে সাত বছরের সংসারের ইতি টানেন তিনি। বর্তমানে সালমা তার মেয়ে স্নেহাকে নিয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে মোহাম্মদপুরে আছেন। এভাবেই বাকি জীবনটা কাটতে চান বলেও জানান সালমা। তিনি বলেন, আমাদের দুজনেরই সন্তান স্নেহা। ও আমার কাছেই থাকে। ওর বাবার কাছেও যায়।

তবে আমি আমার মেয়েকে একাও মানুষ করতে পারবো। কারণ ডিভোর্সের পর আমি আরো গোছালো হয়েছি। এখন প্রতিটা কাজ বুঝে শুনে করি। আর এখন গান করতে আমার সমস্যা হয় না। তেমনি সন্তান লালন-পালন করতেও বেগ পেতে হয় না। পাশাপাশি এখন মেয়ের পড়াশুনাও চালিয়ে যাচ্ছি।

শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি ২০০৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন আরেক অভিনেতা হিল্লোলকে। দীর্ঘ পাঁচ বছর সংসার করার পর ২০১১ সালে তাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। ওই সময় তাদের ঘর আলোকিত করে এসেছিলো মেয়ে ওয়ারিশা। কিন্তু তাকে নিয়েই এখন নতুন জীবন শুরু করেছেন তিন্নি। মাঝে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিন্নি। সর্বশেষ জানা গেছে, তিনি এখন মেয়েকে নিয়ে প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছেন।

মূলত তিন্নি ও তার মেয়ে ওয়ারিশা বর্তমানে কানাডার মন্ট্রিলে অবস্থান করছেন। সেখানে তাদের খুব একটা দেখা না গেলেও কিছুদিন আগে দেখা মিললো তিন্নি পরিবারের। সম্প্রতি মন্ট্রিলে তিন্নির কাজিন শায়ানা হকের বয়স ষোলো পূর্ণ হওয়ার কারণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত হন তিন্নি ও তার একমাত্র কন্যা ওয়ারিশা। অনুষ্ঠানে বেশ জাঁকজমকপূর্ণ বেশে দেখা গেছে মডেল-অভিনেত্রী তিন্নিকে।

অপু বিশ্বাস বাংলা চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। রোমান্টিক ছবিতে অভিনয় করতে করতে একসময় প্রেমে জড়িয়েছিলেন ঢালিউড কিং খান শাকিব খানের। এরপর সারাজীবন ভালবাসার মানুষের সঙ্গে কাটাতে এক সঙ্গে থাকার জন্য ১০ বছর আগে গোপনে বিয়ে করেছিলেন এ জুটি। কিন্তু বেশি দিন একই ছাদের নিচে বসবাস হলো না তাদের, পরিনয় থেকে হয়ে যায় ডিভোর্স।

এদিকে, সংসার সমাপ্তির পরও অপুর জীবনে রয়েছে একটি ফুটফুটে বাচ্চা। যার নাম আব্রাহাম খান জয়। তাকেই নিয়ে এখন মূলত শাকিবহীন থাকছেন অপু বিশ্বাস। তবে আলাদা থাকলেও ছেলের বেলায় তারা আবার এক হন। গত কয়েকদিন আগেই মিলেছে এমন প্রমাণ। ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য শাকিব খান এবং অপু বিশ্বাস এক সঙ্গে যান।

গত ১২ নভেম্বর রাজধানীর বারিধারায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (এআইএসডি) স্কুলে জয়কে ভর্তি করান তারা। ভর্তির জন্য ফরমও পূরণ করেন বাবা শাকিব ও মা অপু বিশ্বাস।

এদিকে, জয় বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-তে প্লে-গ্রুপে ভর্তি হয়েছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here