• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

সেলিম আল দীনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

‘তোমার সম্মুখে অনন্ত মুক্তির অনিমেষ ছায়াপথ’, ‘গঠিত হই শূন্যে মিলাই’! এমন দার্শনিক কথার কারিগর, নবজন্মের পিতৃপুরুষ নাট্যাচার্য ও গবেষক সেলিম আল দীনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সেলিম আল দীনের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট, ফেনী জেলার সোনাগাজীতে। নাটক নিয়ে তার বিস্তর গবেষণা সমৃদ্ধ করেছে দেশের নাট্যাঙ্গনকে। তিনি ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজের নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। শুধু নাটক রচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি; বাংলা ভাষার একমাত্র নাট্যবিষয়ক কোষগ্রন্থ বাংলা নাট্যকোষ সংগ্রহ, সংকলন, প্রণয়ন ও সম্পাদনা করেছেন তিনি।
 
লেখার জগতে বিচরণ করবেন, এমন স্বপ্ন ছোট বেলা থেকেই বুনেছেন তিনি। তবে স্বপ্নটাকে পাকা সিদ্ধান্তে রূপান্তর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর। তবে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে ওঠার পর তিনি ঢাবি ছেড়ে ভর্তি হন টাঙ্গাইলের করোটিয়ার সাদত কলেজে। সেখান থেকে স্নাতক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

সেলিম আল দীনের হাত ধরেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা হয়। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলা নাটকের এই শিকড় সন্ধানী ১৯৮১-৮২ সালে নাট্যনির্দেশক নাসির উদ্দীন ইউসুফকে সঙ্গী করে গড়ে তোলেন গ্রাম থিয়েটার। তার প্রথম রেডিও নাটক ‘বিপরীত তমসায়’। ১৯৭২ সালে তার প্রথম মঞ্চনাটক ‘সর্প বিষয়ক গল্প’ মঞ্চস্থ হয়।

সমৃদ্ধ নাট্যজীবনে সেলিম আল দীন পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ২০০২ সালে কথাসাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৪ সালে শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন নাটক রচয়িতার পুরস্কার, ১৯৯৪ সালে শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ২০০৭ সালে একুশে পদক।

Place your advertisement here
Place your advertisement here