• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

সূর্যমুখীতে হাসছে কুড়িগ্রামের অনাবাদি জমি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামের ধরলার চর মাধবরাম গ্রামে গত বন্যায় ছিল থৈ থৈ পানি। উজানে ঢেউয়ে জগমোহনের চরে ছিল প্রলয়ঙ্করী ভাঙন। তাই বালু পড়ে এই চরের শত শত একর জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। কিন্তু এবার সেই বালুকাময় জমিতে সূর্যমুখীর হাসি দেখে মন ভরেছে কৃষকের। সারি সারি সূর্যমুখী গাছের ডগায় বড় বড় আকারের ফুল, যেন সূর্যমুখীতে হাসছে অনাবাদি জমি।

স্থানীয় কৃষি বিভাগের আশা, কুড়িগ্রামের চরভূমিতে সূর্যমুখী চাষ সম্প্রসারণ করে চরের কৃষকের ভাগ্য বদলে যাবে। সেই সঙ্গে অনুন্নত এই জেলার অর্থনৈতিক চিত্র বদলে যাবে।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদী আর পাঁচ শতাধিক চর রয়েছে। এই চরের পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সাফল্য পাচ্ছেন চাষিরা। বাড়ছে আবাদ। এতে করে একদিকে যেমন আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে পতিত অনাবাদী জমিকে কাজে লাগিয়ে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।

গত বছর জেলায় ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হলেও এবার ২০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে দুই মেট্রিক টন সূর্যমুখী তেলবীজ উৎপাদন হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি বীজের দাম ৮০ টাকা। সে হিসাবে এবার জেলায় কমপক্ষে ৩২ কোটি টাকার সূর্যমুখীর তেলবীজ বিক্রি হবে। দাম বাড়লে এই অঙ্ক আরও বাড়বে। 
 
কৃষকরা জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপাদন খরচ পড়ে ৫০-৬০ হাজার টাকা। আর বিক্রি হয় এক লাখ ৬০ হাজার টাকার তৈলবীজ।

সূর্যমুখী চাষি লাল মিয়া জানান, চরের জমিতে সূর্যমুখীর ভালো ফলন দেখে তারাও উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। ব্যাংক আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এলে সূর্যমুখীর চাষ আরো বাড়বে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, সদর উপজেলার ২০ একর জমিতে এ বছর সূর্যমুখীর চাষ করেছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ থেকে তাদের বীজ সহায়তা দেয়া হয়েছে। 
 
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মঞ্জুরুল হক জানান, জেলার ৪৬ হাজার চরভূমির বেশির ভাগে সূর্যমুখী চাষের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। জেলার দারিদ্র্য বিমোচনে সূর্যমুখী চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার আব্দুল ওয়াহেদ জানান, রংপুর অঞ্চলে এবার এক হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় চার গুণ বেশি। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here