• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সুযোগ পেলেও মেডিকেলে ভর্তির টাকা নেই মিজানুরের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটের ধরলা নদীর দূর্গম চরাঞ্চলের অদম্য মেধাবী মিজানুর রহমান এবার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেন না তিনি। অভাবকে জয় করে মিজানুর রহমান ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর কুলাঘাট গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান। ধরলা নদী তীরবর্তী ইউনিয়নে মিজানুরই একমাত্র শিক্ষার্থী যিনি এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অথচ অর্থাভাবে সেই সুযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মিজানুর গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও লালমনিরহাট সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন।

মিজানুরকে নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী গর্ববোধ করলেও তাদের মাঝে বিরাজ করছে অনিশ্চয়তার ছায়া। মিজান শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে কিনা এমন চিন্তায় এখন পুরো পরিবার।

২০১২ সালে মারা যান মিজানুরের বাবা মফিজ উদ্দিন। তখন সে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছয় সন্তানকে নিয়ে চরম অর্থাভাবে পড়েন মা জোবেদা বেগম। জায়গা জমি বলতে কিছুই নেই। মাত্র ৮ শতক জমির ওপর বসতঘর।

নবম শ্রেণি থেকে প্রাইভেট টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যান মিজান। ধারদেনা, মায়ের মুষ্টির চাল আর অন্যের সাহায্য সহযোগিতায় এতদূর এগুতে পারলেও এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তিনি। মেডিকেলে ভর্তি ফিসহ আগামী পাঁচ বছরের পড়াশুনায় প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।

মা জোবেদা বেগম বলেন, বাহে, হামার কিচ্ছু নাই। না খেয়ে ছেলেকে পড়ালেখা করাইছি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ছোট ছেলেকে পড়াশুনা করে এত দূর নিয়ে আসছি। ডাক্তারি পড়ানোর এত টাকা হামা কই পামো? ডাক্তারি ভর্তি ও প্রতি মাসের টাকা এখন কিভাবে যোগাড় হবে তা নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে।

তিনি সমাজের বিত্তশীল লোকদের কাছে সন্তানের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।

চর কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কুলাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান, নিজের চেষ্টায় ও সবার সহযোগিতায় মিজান এতদূর এগিয়েছে। মেডিকেলে পড়তে যে খরচাদি হবে তার যোগান দেয়া কষ্টকর হবে ওই পরিবারের। অত্র ইউনিয়নের মধ্যে মিজানই প্রথম মেডিকেল শিক্ষার্থী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মিজানুর রহমান বলেন, নবম শ্রেণি থেকে টিউশনি আর ধারদেনা করে পড়াশুনা চালিয়ে আসছি। এখন কোনো সংস্থা যদি আমার পড়াশুনার জন্য এগিয়ে আসে তাহলে চিকিৎসক হয়ে বন্যাপীড়িত এই ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষদের পাশে থাকতে চাই। পাশাপাশি মায়ের স্বপ্নপূরনে তিনি বিত্তবানদের সহযোগিতা চান।

Place your advertisement here
Place your advertisement here