• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

সহকারী শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেডে থাকছে না বেতন বৈষম্য

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেডে বেতন বৈষম্য আর থাকছে না। নতুন গ্রেডে যাদের বেতন কমে যাচ্ছিল, তাদের বেতন স্কেলের একধাপ ওপরে বেতন নির্ধারণ করে চিঠি দিয়েছে অর্থ বিভাগ। বুধবার অর্থ বিভাগের উপসচিব হায়াত মো. ফিরোজ স্বাক্ষরিত এই চিঠি দেওয়া হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, টাইমস্কেল নিরূপণ করে বেতনস্কেল উন্নীত করার পর, নিম্নধাপে যদি কোনও শিক্ষক বর্তমান মূল বেতনের চেয়ে কম পান, তাহলে উচ্চ ধাপে তার বেতন স্কেল নির্ধারিত হবে।

সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়ালেও নিম্নধাপে নির্ধারিত সহকারী শিক্ষকদের বেতন ফিক্সেশনে কমে যায়। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলে গত ২৮ জুলাই বেতন একধাপ ওপরে নির্ধারণ করার জন্য অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই চিঠির পর অর্থ বিভাগ বুধবার (১২ আগস্ট) বেতন উন্নীত করার মত দিয়ে চিঠি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১১তম গ্রেডের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছিলেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তাদের বেতন গ্রেড উন্নীত হয়। শিক্ষকদের চাওয়া ছিল ১১তম গ্রেড। কিন্তু তাদের দেওয়া হয় ১৩তম গ্রেড। এতে নিম্নধাপে মূল বেতন ফিক্সেশন করলে উল্টো বেতন কমে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতির শিকার হওয়ার মুখে পড়ে লাখ লাখ শিক্ষক। কারণ বেশিরভাগ শিক্ষকই ইনক্রিমেন্ট পেয়ে আগে থেকে ১৩ গ্রেডের কাছাকাছি বা বেশি বেতন পাচ্ছেন।

বেতন উন্নীত করতে অর্থ বিভাগকে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, গত বছর ৭ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে গ্রেড-১৩ তে উন্নীত করা হয়। আর প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড-১২ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে গ্রেড-১১তে উন্নীত করা হয়। এতে কিছু শিক্ষকের বর্তমান মূল বেতনের নিম্নধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে অনেক শিক্ষকের বেতন কমে যাচ্ছে। এতে তারা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন। এ কারণে মাঠ পর্যায়ে বেতন ফিক্সেশন হচ্ছে না।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণ শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও কিছু শিক্ষকদের বর্তমান মূল বেতনের নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মাঝে হতাশা এবং অসন্তোষ দেখা দেয়। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পরিবর্তে ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।

Place your advertisement here
Place your advertisement here