• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

সকালের নাস্তার জন্য বিখ্যাত যে দেশ!

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

সকালের নাস্তা নিয়ে অনেকেরই কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু একটি দেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছে শুধু মাত্র সকালের নাস্তার জন্যই! তৃপ্তি সহকারে রাতের উপবাস ভাঙতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে তুরস্কের ছোট্ট শহর 'ভ্যান'-এ। শহরটির রেস্টুরেন্টগুলো অসংখ্য পদের পুষ্টিকর খাবার দিয়ে আপনাকে নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করার জন্য উৎসাহিত করবে। শুধু ভ্যান শহরেই নয়, সমগ্র তুরস্কের জনগণের মধ্যেই সকালের খাবার নিয়ে ভোজনবিলাসী ভাব ও আকর্ষণের কোনো অভাব নেই।

বহু বছরের প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে মুখরোচক খাদ্য তৈরির জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শহরটিতে প্রতিদিন সকালে পরিবেশন করা হয় প্রায় দেড়'শ পদের খাবার। ভ্যান শহরে সকালের খাবারের জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র ৩৭০ টাকা! কিছু কিছু খাবারের দাম এর থেকে একটু বেশি বা কমও হতে পারে। এই পরিমাণ টাকায় আপনি কী কী খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তা সম্পর্কে জেনে নিন!

 

1.সকালের নাস্তার জন্য বিখ্যাত যে দেশ!

ভ্যান শহরে আপনি যখন সকালের নাস্তা করতে যাবেন সর্বপ্রথম আপনার থালায় দেওয়া হবে-পনির, জলপাই, ডিম, সসেজ ও জেলি। যার পরিমাণ এতো বেশি থাকে যে, একজনের খাবার দুজন মানুষ অনায়াসে খেতে পারবে। এরপরই দেয়া হবে কয়েক রকমের চা। আপনি যদি চা অপছন্দ করেন তাহলেও কোনো চিন্তা নেই, থাকছে ব্ল্যাক কফি। বলে রাখা ভালো, তুরস্কের ব্ল্যাক কফি সারাবিশ্বে বিখ্যাত। এর নেপথ্য কারণ, তাদের কফি বানানোর পদ্ধতি।

ভ্যানের সকালের খাবার বা ‘কাহভাল্টি’ তাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও রন্ধনশিল্পের বর্ণনা দেয়। কাহভাল্টি একটি তুর্কি শব্দ। যার মানে সকালের চা পান করার আগে খাবার খাওয়া। কাহভাল্টির শুরুটা হয় কিছু হালকা ও টাটকা ফুড আইটেম দিয়ে। এর জন্য প্রথমে আপনার সামনে পরিবেশন করা হবে শসা ও টমেটোর সালাদ, জলপাই, ফলের জ্যাম এবং আরও কিছু ফল ও সবজি।

 

2.সকালের নাস্তার জন্য বিখ্যাত যে দেশ!

কাহভাল্টির পর আপনাকে দেয়া হবে পনিরের তৈরী একটি বিশেষ থালা। যেটা ‘বেয়াজ পেয়নির' নামে পরিচিত। এই থালা পুরো দেশের মধ্যে জনপ্রিয়। কথিত আছে, তুরস্কের মানুষের দিন শুরু হয় এই থালা দেখেই! এই থালায় ব্যবহৃত ভেড়ার দুধের তৈরী পনিরের স্বাদ এতটাই অসাধারণ, একবার মুখে নিলে বার বার খেতে চাইবেন। এছাড়া এই থালায় পুদিনা পাতা, থাইম, গার্লিক শুটস, বন্য ফেনেল ও এধরনের মোট ২০টি বন্য ঔষধি গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করা হয়। পনির ও ঔষধি গাছের সমন্বয়ে তৈরী এই খাদ্য একজন ব্যক্তির পাঁচন শক্তি বৃদ্ধিতে ও তার রক্তকে জীবাণুমুক্ত করে পরিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। এর সাথে থাকে ‘বাল কায়মাক', যা আসলে মধু ও ক্রিমের মিশ্রণ।

 

3.সকালের নাস্তার জন্য বিখ্যাত যে দেশ!

এছাড়া ‘কাসেরি’ ও ‘আইওর’ তো রয়েছেই। কাসেরি হলো ভেড়ার দুধের তৈরী শক্ত পনির এবং আইওর ছাগলের দুধ দিয়ে বানানো কটেজ পনির। এছাড়া ‘মুর্চুগা’ নামক খাবারটির স্বাদের সাথে প্যানকেকের কিছুটা মিল পাবেন। এর মূল উপাদান মাখন, আটা ও ডিম। আর মুর্চুগা পরিবেশন করা হয় মধু ও ফলের জ্যাম দিয়ে। দেখতে কোনো অংশেই প্যানকেকের মতো মনে না হলেও স্বাদে এর মিল আছে। ডিমের তৈরী দুটি প্রধান থালাও পাবেন ব্রেকফাস্টে। একটি থালায় ডিম ভাজার সাথে সুজুক বা ক্যাভুরমা (অল্প আঁচে ভাজা ভেড়ার বা গরুর মাংস) এবং পনির দেওয়া হয়। একে ‘সাকাকলু ইয়ামার্টা' বলা হয়। আরেকটি থালা হলো-‘মেনেমেন’। এটি ডিমের সাথে টমেটো, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম ও পনির মিশিয়ে তৈরী হয়। ভ্যান ব্রেকফাস্ট রেস্টুরেন্টগুলোতে একটি খাবারের জন্য প্রায়ই বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়, যার নাম ‘ক্যাভুট’। গমের আটা দিয়ে বানানো হয় এই ক্যাভুট। তুরস্কে এর চাহিদা অনেক।

এছাড়া নাম না থাকা অনেক খাবার রয়েছে যা সকালের খাবারের পাতে দেয়া হয়। সকালবেলায় এতো রকমের মুখরোচক খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে আপনাকে এর মূল ঘাঁটি তথা ভ্যান শহরেই যেতে হবে!

Place your advertisement here
Place your advertisement here