• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

সংগ্রামী এক আল আমিনের গল্প

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

রুপালি পর্দায় আসার অলীক কল্পনা সবারই থাকে। আর তাকে লালন করে বড় হয়েছেন তিনি। একটা সময় তার সে কল্পনা বাস্তবেও রূপ নেয়। একজন কৌতুক অভিনেতা হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করলেও তার প্রথম অভিনয় ছিলো নির্মাতা আলম পরিচালিত ‘জল ছবি একাত্তর’ নাটকের মধ্য দিয়ে। বলছিলাম হত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা আল আমিনের কথা।

দৈনিক রংপুর  খুঁজে বের করেছেন এমনই এক প্রতিভাবান আল আমিনকে। তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাও বলেছেন তারা। নীচে তার আয়স জীবনের সংগ্রামী কাহিনীগুলো তুলে ধরা হলো।

কেমন আছেন?

আল আমিন: ভালো আছি।

এখন কী করছেন?

আল আমিন: আমার একটি ছোট ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান আছে, সেখানের উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসার চালায়।

আপনার পরিবারে কে কে আছেন?

আল আমিন: আমার মা, বউ এবং দুই সন্তান।

আপনার ছোট ব্যবসা দিয়ে সব ঠিকটাক চলেতো?

আল আমিন: ভাই অনেক কষ্টের জীবন আমার। তাও সৃষ্টিকর্তা ভালো রেখেছে আমাকে। এখন কোনভাবেই চলে যায় আমার সাজানো সংসার।

বিয়ের আগের সময়টা কেমন ছিল?

আল আমিন: ওইটা আরো নির্মম ছিল। পাঁচ ভাই দুই বোন আমরা। সকলের লালন পালনের দায়িত্ব ছিলেন এক হতভাগা বাবা। তিনি একাই রোজগার করতেন আর আমরা সকলে তার ওপর ভর দিয়ে চলতাম।

এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। মিডিয়ার কাজে কিভাবে সরব হলেন?

আল আমিন: ২০০৬ সালে প্রথম নাটকে অভিনয় করি। মিডিয়ার কয়েক ডিরেক্টর আমার এলাকায় থাকতো। তাদের একজন হঠাৎ একদিন আমাকে কাজের অফার দেয়। তখন বলতে গেলে অনেকটাই বেকার ছিলাম আমি। তাই সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। সে নাটকে আমার অভিনয় পাকাপোক্ত হয়। সেটিই ছিল ছোট পর্দায় আমার প্রথম কাজ। নাম ‘জল ছবি একাত্তর’।

 

 

নাটকটির অভিজ্ঞতা বলুন?

আল আমিন: এর অভিজ্ঞতা অনেক খারাপ। কারণ একটি ১০ সেকেন্ডের শটের জন্য আমার প্রায় ৪৫মিনিট সময় লেগেছে। আমি ভয় পাচ্ছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত ছিল ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করা। অবশেষে আমি কাজটি করতে পেরেছিলাম।

এই পর্যন্ত কী কী নাটকে কাজ করেছেন?

আল আমিন: আমি এই পর্যন্ত ‘ফ্যামিলি প্যাক’, ‘সেলফি মেনিয়া’, ‘সম্পর্ক’, ‘সারপ্রাইজ’ সহ আরো কয়েকটি নাটকে কাজ করেছি।

আপনার সামনের পরিকল্পনা কী?

আল আমিন: আমাদের আবার কিসের পরিকল্পনা। যখন যা পায় তাই করবো। যদি কেউ অফার করে নাটকের, তাহলে নাটকে সরব থাকবো। আবার যদি কোন কাজ না পায় তাহলে দোকান করবো।

 

2.সংগ্রামী এক আল আমিনের গল্প

কিসের দোকান?

আল আমিন: আমার একটি ছোট চায়ের দোকান রয়েছে। যেখানে চা-পান ও সিগারেট বিক্রি করে আমি সংসার চালায়। ছোট্ট পরিসরের এই দোকানটিই মূলত আমার সংসারটাকে আগলে রাখে।

বস্তুত আল আমিন এই চায়ের দোকানটি করে তার জীবিকা নির্বাহ করেন। এটি নিয়ে তিনি বেশ ভালই আছেন বলে জানান। তবে তার ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জার্নিটা মোটেও প্রীতিকর ছিলো না।

সেই সময় বেকার থাকার কারণে অনেক কষ্টের দিন যাপন করতে হয়েছে এই অভিনেতাকে। বিপদের সময় কাছেও পাননি আপন কাউকে। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে বর্তমানে একটি চায়ের দোকান করে বেশ ভালো কেটে যাচ্ছে আল আমিনের এই সময়।

বরিশালের বাবুগঞ্জ থানায় জন্ম তার। এরপরে বড় হয়ে জীবনের কষ্টের ধাপগুলো পার করে মা, স্ত্রী এবং দুইটি মেয়েকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন যাপন করছেন হতভাগা আল আমিন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here