• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

‘শান্তিরক্ষা মিশনে সাড়া দিতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে’

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

জাতিসঙ্ঘের আহবানে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ যাতে আরো আত্মবিশ্বাসের সাথে সাড়া দিতে পারেন সেজন্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সাথে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন, সে জন্য সরকারের সকল প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০’ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বশান্তিপ্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি আমি আমার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি।’

বাংলাদেশ আজ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের অন্যতম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে এবং এদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ’

একইসঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে,বলেন তিনি।

তিনি আশা পোষণ করেন যে, ‘শান্তিরক্ষী সদস্যগণ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠা দ্বারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবেন।’
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীগণ পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করে যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ওই সকল দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে যে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে, তা আমাদের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য পেশাদারিত্ব, সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতারই অর্জিত ফসল।’

১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা তার ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তি প্রিয় ও বন্ধুপ্রতিম সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসঙ্ঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে।’

তিনি এ সময় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রসংগ টেনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠাকালে শাহাদৎ বরনকারীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও তিনি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

এ উপলক্ষে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা প্রধানমন্ত্রী গর্বভরে স্মরণ করেন এবং শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

শেখ হাসিনা ‘আন্তর্জাতিক জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০’ র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং সকল শান্তিরক্ষীর সাফল্য এবং মঙ্গল ও কামনা করেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here