শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের দুঃসাহসিক জীবন
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২১
Find us in facebook
বায়েজিদ সরোয়ার
ডেটলাইন ২৭ জুন ১৯৭৫। স্বর্গীয় মাধুরীতে ভরা এখন ইংল্যান্ডে গ্রীষ্মকাল। প্রকৃতিতে সৌন্দর্যের বন্যা বইছে। কিন্তু এর চেয়েও আনন্দের বন্যা আজ ব্রিটেনের রয়াল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্টের ক্যাডেটদের মনেপ্রাণে। ছয় মাস কঠোর প্রশিক্ষণের পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রার্থিত সভরিন (পার্সিং আউট) প্যারেড। আজ প্যারেড রিভিউ করছেন রাজকুমারী এলিস। বিদেশি ক্যাডেটদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কমিশন লাভ করতে যাচ্ছেন তিনজন গর্বিত তরুণ। তাঁদের দুজন হলেন অফিসার ক্যাডেট আলাউদ্দিন মো. আবদুল ওয়াদুদ ও মাসুদুল হাসান। তৃতীয় তরুণের নাম শেখ জামাল। তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুুুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র। ১ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে স্যান্ডহার্স্বে রেগুলার ক্যারিয়ার কোর্স শুরু হবে। শেখ জামাল এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও অংশ নিচ্ছেন না। কারণ তাঁর দুই প্রিয় বন্ধু বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন। আর রয়েছে মায়ের জন্য গভীর টান। মাত্র দেড় মাস পর এই সিদ্ধান্তই তাঁর জীবনকে তছনছ করে দেবে।
প্যারেডের শেষ পর্যায়ে অর্কেস্ট্রায় স্কটিশ বিদায় সংগীত ‘ওল্ড লং সিনস’-এর (পুরনো সেই দিনের কথা) সুর বেজে উঠেছে। ক্যাডেটরা সারিবদ্ধভাবে প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে মার্চ করে ওল্ড কলেজের সিঁড়ি অতিক্রম করলেন। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের তিন তরুণের ক্যাডেট থেকে কাঙ্ক্ষিত আর্মি অফিসারে রূপান্তর ঘটল। জামালের চোখে এখন আনন্দের অশ্রু। আনমনে ভাবলেন, ‘আব্বা যদি আজ প্যারেডে থাকতেন।’ ব্রিটিশ পত্রপত্রিকায় কমিশনপ্রাপ্ত বাংলাদেশের তিনজন তরুণের ছবি ছাপা হলো। ছবিটি বিশ্বকে এক প্রতীকী বার্তা দিয়েছিল—লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ তার সামরিক বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে চায়।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য কিশোর শেখ জামাল ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট ধানমণ্ডির তারকাঁটার বেড়া দেওয়া পাকিস্তানি বাহিনীর বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে ভারতে যান। ধানমণ্ডি থেকে পালিয়ে ভারতের আগরতলা পৌঁছানো ছিল রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা। আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে শেখ জামাল পৌঁছলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের কালশীতে। মুজিব বাহিনীর (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স) ৮০ জন নির্বাচিত তরুণের সঙ্গে শেখ জামাল ২১ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর শেখ জামাল ৯ নম্বর সেক্টরে যোগদান করেন। ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে শেখ জামালের কক্ষে দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে (সাতক্ষীরার) কালীগঞ্জ রণাঙ্গনে তোলা রাইফেল কাঁধে শেখ জামালের মুক্তিযুদ্ধকালীন একটি ছবি। ৯ নম্বর সেক্টরের ডেয়ার ডেভিল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাহফুজ আলম বেগের অস্তরাগে স্মৃতিতে এখনো সমুজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলো : ইছামতী নদী, হিংগলগঞ্জ ক্যাম্প, পারুলিয়া ব্রিজ, রণাঙ্গনে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল, ক্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসেরের উদ্দীপনামূলক ভাষণ…। দেশ স্বাধীন হলে যুদ্ধের পোশাকেই যুদ্ধের ফ্রন্ট থেকে শেখ জামাল ঢাকায় ফেরেন ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর। বড় বোন শেখ হাসিনা, ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছোট ভাই শেখ রাসেলের সে কী আনন্দ! ওই দিনই বিকেলে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাদের সিদ্দিকী বীর-উত্তম আয়োজিত স্বাধীন বাংলায় ঢাকার পল্টনে প্রথম জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি।
২৯ জানুয়ারি ১৯৭৪। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছেন যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো। শেখ জামালের মধ্যে সেনাবাহিনীতে যোগদানের প্রবল আগ্রহ দেখে মার্শাল টিটো তাঁকে যুুগোস্লাভ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। ১৯৭৪ সালের বসন্তে ঢাকা কলেজের ছাত্র জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু একেবারে ভিন্ন পরিবেশ, প্রতিকূল আবহাওয়া আর ভাষার অসুবিধার কারণে সেখানকার প্রশিক্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো শেখ জামালের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে মার্শাল টিটো শেখ জামালকে ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্টে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরামর্শ দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ জামালকে সেনা অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালের শরতে স্যান্ডহার্স্টে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের লক্ষ্যে শেখ জামাল লন্ডনে এসে পৌঁছেন। তবে স্যান্ডহার্স্টের পূর্বশর্ত হিসেবে জামালকে (ব্রিটেনের) আর্মি স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজ, বেকনসফিল্ড থেকে প্রয়োজনীয় পূর্ব-প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সামরিক একাডেমির মধ্যে স্যান্ডহার্স্ট অন্যতম। এখানে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের তিনজন তরুণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে আসেন। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর বিশেষ উদ্যোগে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুজন ক্যাডেট (শফি মো. মেহবুব ও লুেফ কামাল) স্যান্ডহার্স্ট থেকে কমিশন লাভ করেন। স্যান্ডহার্স্টের শর্ট সার্ভিস কমিশনের সুকঠিন গ্র্যাজুয়েট কোর্সটির মেয়াদ ছিল প্রায় ছয় মাস (৩ জানুয়ারি থেকে ২৭ জুন ১৯৭৫)। ৪০০ জন ক্যাডেটের মধ্যে বিদেশি ক্যাডেটদের সংখ্যা ছিল ৩০। আন্তর্জাতিক পরিবেশে খুব অল্প সময়ে নিজেদের মানিয়ে নেন থ্রি মাসকেটিয়ার্স।
১৯৭৫ সালের মে মাসের শেষের দিকে স্যান্ডহার্স্ট থেকে ক্যাডেটরা রণকৌশলগত চূড়ান্ত অনুশীলনে (এক্সারসাইজ ডাইনামিক ভিক্টোরি) অংশগ্রহণ করতে পশ্চিম জার্মানিতে (ব্রিটিশ আর্মি অন রাইন) যান। এই অনুশীলনকে রীতিমতো যুদ্ধই বলা যায়। গায়ে কমব্যাট ইউনিফর্ম, হাতে রাইফেল, পিঠে হ্যাভার স্যাক পরে জামাল পুরোপুরি যোদ্ধা। কখনো পাহাড়ি এলাকা, কখনো অরণ্য, কখনো খোলা প্রান্তরে চলে দুঃসাহসিক অনুশীলন। সারা দিন প্রতিরক্ষায় ট্রেঞ্চে বসে থাকা। ভোররাতে পরিচালিত হলো গোর্খা ব্যাটালিয়নের আক্রমণ। আকাশে শত্রুর বিমান। ট্রেঞ্চের কিছু দূরে আর্টিলারি শেল পড়ছে। চলছে লাইভ ফায়ারিং। শত্রুদের হটিয়ে এবার এগিয়ে যেতে হবে। পাইন বৃক্ষশোভিত অরণ্যময় এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে র্যাপলিং করে নামতে হলো কয়েক শ ফুট। কখনো শত্রুর প্রতিরক্ষায় বেপরোয়া আক্রমণ।
স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে ফিরে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের পোস্টিং হলো ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ব্যাটালিয়নের চার্লি কম্পানির কম্পানি কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম ভূঁইঞা, বীরপ্রতীক (পরবর্তীকালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল, প্রতিমন্ত্রী, বর্তমানে সংসদ সদস্য)। ক্যাপ্টেন নজরুলের অধীনে শেখ জামালের রেজিমেন্টজীবনের হাতেখড়ি হলো ‘কম্পানি অফিসার’ হিসেবে। ইউনিটে যোগদানের দিন সেনাবাহিনীর খাকি ইউনিফর্ম পরে বাড়িতে ফেরেন শেখ জামাল। মুগ্ধ চোখে স্মার্ট এক আর্মি অফিসারকে দেখেন পিতা শেখ মুজিব ও মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে জামালের চাকরিকাল ছিল প্রায় দেড় মাস। কিন্তু এই স্বল্প সময়ে অফিসার ও সৈনিকদের মাঝে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাঁদেরই একজন হয়ে যান। সকালে পিটির সময়ে সৈনিকদের আগে থেকে দৌড়ে সবাইকে অবাক করে দেন শেখ জামাল। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন। বিকেলে খেলার মাঠে ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে বাস্কেট বল খেলেন। সন্ধ্যায় কখনো সৈনিক মেসে সৈনিকদের সঙ্গে খাবার খান। নিজের অর্থে কম্পানির সৈনিকদের জন্য উন্নত মানের প্লেটের ব্যবস্থা করেন। ইউনিটের অফিসাররা বিস্মিত হন নবাগত কনিষ্ঠতম অফিসারের সাবলীল রেজিমেন্টাল কর্মকাণ্ডে। মনে হতো সেনাবাহিনীই যেন তাঁর নিয়তি। তিনি হতে পারতেন একজন তরুণ রেজিমেন্টাল অফিসারের মূর্ত প্রতীক।
একদিন আদেশ হলো গাড়িতে নয়, অন্য তরুণ অফিসারদের মতো মোটরসাইকেলে ক্যান্টনমেন্ট যাবেন শেখ জামাল। লক্ষ্মী ছেলের মতো মায়ের কড়া আদেশটি হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন। সানগ্লাস পরে প্রিয় নায়ক অমিতাভের স্টাইলে দিব্যি বাইক চালিয়ে ক্যান্টনমেন্ট এলেন শেখ জামাল (পরবর্তীকালে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে এই লেখক তৎকালীন অফিসার ও সৈনিকদের থেকে শেখ জামালের স্মৃতিবিজড়িত অনেক গল্প ও ঘটনা জেনেছেন)। ১৪ আগস্ট রাতে ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে আসেন তিনি। একজন সুবেদার বলেন, ‘স্যার, অনেক রাত হয়েছে; আজ রাতে ইউনিটেই থেকে যান।’ কিন্তু রাতে আর সেনানিবাসে থাকা হয় না শেখ জামালের। তিনি ফিরে আসেন ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। বাংলাদেশের কলঙ্ক ‘ঘাতক দল’ ততক্ষণে প্রস্তুতি নিচ্ছে শতাব্দীর এক নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের জন্য। সমগ্র আরবের সুরভিত সুগন্ধি দিয়ে ধুলেও মুছবে না বীভৎস সেই কলঙ্কের দাগ…।
শেখ জামালের জীবন ছিল খুব সংক্ষিপ্ত : ২৮ এপ্রিল ১৯৫৪ থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। শেখ জামাল এখন ঘুমিয়ে আছেন বনানী কবরস্থানে। তাঁর পাশেই ঘুমিয়ে আছেন প্রাণপ্রিয় স্ত্রী রোজী জামাল, যাঁর হাতের তাজা মেহেদির রং বুকের তাজা রক্তে একাকার হয়ে গিয়েছিল। শেখ জামালের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের অযুত ভালোবাসা, গর্ব ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পেশাগতভাবে দক্ষ ও চৌকস বাহিনী হিসেবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গতিশীল নেতৃত্বের অধীনে এগিয়ে যাচ্ছে পেশাগত সমৃদ্ধির সোনালি দিগন্তে। সেনাবাহিনীই যাঁর ছিল নিয়তি, তিনি সেনাবাহিনীর এই মহৎ অর্জনগুলো দেখে কত না আনন্দিত হতেন। শান্তিতে ঘুমান শেখ জামাল। জেনে রাখবেন, আপনাদের পরবর্তী প্রজন্মের সেনানীরা মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষায় বুকের রক্ত দিতে সদা প্রস্তুত। আজকের এই দিনে একজন অকালপ্রয়াত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা, বন্ধু-অন্তপ্রাণ ও সাহসী তরুণের কথা স্মরণ করি বিনম্র শ্রদ্ধাভরে। লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল—স্যালুট টু ইউ স্যার।
এর মধ্যে কেটে গেছে দীর্ঘ ৪৪ বছর। স্যান্ডহার্স্টের থ্রি মাসকেটিয়ার্সের মধ্যে শুধু শেখ জামালই নেই। মেজর জেনারেল ওয়াদুদ (অব.) ও ক্যাপ্টেন মাসুদ (অব.) এখনো স্যান্ডহার্স্টের দিনগুলোর স্বপ্নময়তার মাঝে হারিয়ে যাওয়া প্রিয়তম বন্ধু জামালকে খোঁজেন। টাইম মেশিনে দুজনে ফিরে যান ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্যান্ডহার্স্টের ‘এক্সারসাইজ ভার্জিন সোলজারের’ একখণ্ড স্মৃতির খোঁজে…।
…সারা দিন হেঁটে তরুণ ক্যাডেটদের দলটি বনে পৌঁছল। সন্ধ্যাবেলা খাওয়ার পর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লেন ক্লান্ত জামাল। মধ্যরাতে হঠাৎ কিছু একটার শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে গেল। তাঁবুর দরজা ফাঁক করে দেখেন বাইরে এক অদ্ভুত পরিবেশ। আকাশে মস্ত বড় চাঁদ। তারা ঝলমলে জ্যোত্স্নায় বার্চ আর পাইনের বন যেন অপার্থিব রকম সৌন্দর্যে সেজে উঠেছে। শেখ জামাল তাঁবুর বাইরে এলেন। আশ্চর্য হয়ে দেখলেন বন্ধু মাসুদ আর ওয়াদুদও তাঁবু থেকে বেরিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। বার্চগাছের সারি ঢালু হয়ে নেমে গেছে সামনের উপত্যকায়, তারপর সেই পাহাড় সারির ওপর সেই অদ্ভুত পূর্ণিমা। তিন বাঙালি তরুণ স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখেন স্যান্ডহার্স্টের ‘প্রথম পূর্ণিমা’।
লেখক: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত), এনডিসি
- লালমনিরহাটে বাংলাদেশ কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
- ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
- দিনাজপুর জেলা কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি
- ইসরায়েলের হামলাকে স্বীকার করছে না ইরান
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- বিএনপি পথহারা পথিক: ওবায়দুল কাদের
- আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি: প্রধানমন্ত্রী
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে ছিল নারীর নিথর দেহ
- দিনাজপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মী কারাগারে
- স্বামীর বাড়িতে ফেরা হলো না গোলবানুর
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিজিপির আরো ১৩ সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- খানসামার সেই চাষিদের কাছ থেকে শসা কিনল স্বপ্ন
- দাবদাহে পুড়ছে দেশ, সুস্থ থাকতে যা করবেন
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে ব্যবস্থা’
- বাংলাদেশে শিশুখাদ্য নিডো-সেরেলাক নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়া হবে
- ফজর সালাতের প্রতি আর গাফেলতি-অলসতা আসবে না, যদি...
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- নীলফামারীতে বিটরুট চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ইউটিউবে আসছে এআই নির্ভর ৩ ফিচার