• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

লালমনিরহাটে প্রধান শিক্ষকের খাস কামরায় তালা লাগালেন ইউএনও

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ডিএমএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহম্মেদ হোসেন রঞ্জুর খাস কামরায় তালা লাগিয়েছেন হাতীবান্ধার ইউএনও। 

মঙ্গলবার দুপুরে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কন্দর্প নারায়ণ রায় ওই বিদ্যালয়ে হঠাৎ করে পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যালয় ভবনের একটি কক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ব্যক্তিগত খাস কামরা দেখতে পেয়ে তালা লাগিয়ে দেন।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মেদ হোসেন রঞ্জু দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় ভবনের একটি কক্ষে খাস কামরা তৈরি করে জুয়াসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন এমন অভিযোগ ছিল। ওই খাস কামরায় প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব লোক ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষক বা ছাত্র-ছাত্রীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়টির কমিটি ও প্রধান শিক্ষক নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকার কারণে শিক্ষার পরিবেশও দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিভিন্ন বিষয় আমলে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ইউএনও সামিউল আমিন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেননি ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

মঙ্গলবার দুপুরে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন ওই বিদ্যালয়ে হঠাৎ করে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে বিদ্যালয় ভবনে তিনি দেখতে পান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহম্মেদ হোসেন রঞ্জু একটি কক্ষকে খাস কামরা তৈর করে খাট পেতেছেন। পাশাপাশি ওই কক্ষে জুয়া খেলাসহ নানা অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ফলে ইউএনও সামিউল আমিন ওই খাস কামরায় তালা লাগিয়ে দেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহম্মেদ হোসেন রঞ্জু বলেন, খাস কামরা নয়, রাতভর বিদ্যালয়ের কাজ করার কারণে বিদ্যালয়ের কক্ষে বিশ্রামের জন্য একটি খাট বসানো হয়েছে। জুয়াসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যখন মন ভালো থাকে না তখন কয়েকজন মিলে একটু দাবা খেলি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কন্দর্প নারায়ণ রায় জানান, ইউএনওসহ আমি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের একটি খাস কামরার সন্ধান পাই। পরে ইউএনও ওই খাস কামরায় তালা লাগিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমি ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে আছি। আজ হঠাৎ করে পরিদর্শনে যাই। এ সময় একটি কক্ষে তালা লাগানো হয়। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here