• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

লালমনিরহাটে পাকা ঘর পেয়েছেন সেই ভিক্ষুক দম্পতি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় মসজিদে জমি দান করা সেই ভিক্ষুক দম্পতি পাকা ঘর পেয়েছেন। তাদের বাড়ি উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোপাল রায় গ্রামে। গ্রামের ৩০ জন যুবক মিলে ভিক্ষুক দম্পতির জন্য পাকা ঘরটি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এই ভিক্ষুক দম্পতি হলেন- বৃদ্ধ খইমুদ্দিন (৮৩) ও হামিজোন বেগম (৬৮)।

২০১৭ সালের ৭ আগস্ট ‘শেষ সম্বল দান করলেন ভিক্ষুক দম্পতি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ওই দম্পতিকে অনেকেই বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। এরপর গ্রামের ৩০ জন যুবক মিলে ভিক্ষুক দম্পতির জন্য পাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘর নির্মাণ প্রায় শেষ দিকে। দুই-এক দিনের মধ্যে নতুন ঘরে উঠবেন ওই ভিক্ষুক দম্পতি। তারা ঘর পেয়ে দারুণ খুশি।

জানা গেছে, জরাজীর্ণ একটি টিনের চালার ঘরে ভিক্ষুক দম্পতির বসবাস। প্রতিদিনের ভিক্ষার চালে চলে তাদের সংসার। একদিন ভিক্ষা না করলে খাবার জোটে না। অনেক সময় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে। ওই দম্পতি নিঃসন্তান। সম্পদ বলতে বাড়িভিটার ৪ শতাংশ জমি। এই শেষ সম্বলটুকু কয়েক বছর আগে স্থানীয় গ্রামের নিত্যির দিঘি জামে মসজিদে দান করে দিয়েছেন। এমন দান সমাজে বিরল। তাদের জন্য ওই এলাকার ৩০ জন যুবকের উদ্যোগে গত ঈদুল ফিতরে পাকা একটি ঘর নির্মান শুরু করেন।

ঘর পেয়ে হামিজোন বেগম বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের মতো লাগছে। অনেক কষ্টের জীবনে একটি পাকা বাড়ি পেয়ে হামা খুশি। এল্যা বুড়াসহ পাকা ঘরে থাকমো।’

স্থানীয় আমির হোসেন জানান, ওই ভিক্ষুক দম্পতি একটি ভাঙা টিনের চালার ঘরে থাকেন। মসজিদে জমি দানের কথা শুনে স্থানীয় যুবকরা এগিয়ে এসে একটি পাক ঘর তৈরি করে দিয়েছেন।

দক্ষিণ গোপাল রায় গ্রামের মোজাম্মেল হক জানান, ওই পরিবার সরকারিভাবে ঘর পাওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান বা কোনো সরকারি লোক এগিয়ে আসেননি।

এ বিষয়ে কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আতাউজ্জামান রঞ্জু বলেন, স্থানীয় যুবকরা উদ্যোগ নিয়ে এই ভিক্ষুক দম্পতিকে একটি পাকা ঘর তৈরি করে দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। ঘর পেয়ে তারা খুব আনন্দিত। পরিবারটি এখন কিছুটা হলেও নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here