• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

লালমনিরহাটে করোনায় মারা গেছেন শিক্ষক দম্পতি, আক্রান্ত ছেলেও

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিক্ষক দম্পতি। এমন মৃত্যুতে তাদের স্কুল পড়ুনা সন্তান সাজ্জাদ হোসেন হাউমাউ করে কাঁদেন। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আল্লাহ, আমার বাবা-মাকে তো কেড়ে নিয়েছ। এতিম হয়ে গেছি। এখন আমার আমার বড় ভাইকেও কেড়ে নিও না। তাকে সুস্থ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও।’

লালমনিরহাট শহরের সাপ্টানা বাজার এলাকার শিক্ষক দম্পতি জিয়াউল হায়দার মন্ডল দুদুল এবং উম্মে কুলসুম হ্যাপির ছেলে সাজ্জাদ। করোনা তার বাবা-মা দুজনকেই কেড়ে নিয়েছে। একমাত্র ভাই সাদ্দাম হোসেনও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।  

জিয়াউল হায়দার মন্ডল দুদুল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ মরানদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। আর তার স্ত্রী উম্মে কুলুসুম হ্যাপি ছিলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

গত ৭ জুন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান জিয়াউল। এর তিন দিন পর হ্যাপি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকেও রংপুরে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বিকালে মারা যান তিনি। বড় ছেলে সাদ্দাম হোসেনও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি। তার শারীরিক অবস্থাও খারাপের দিকে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন বলেন,  ‘আমি কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। আল্লাহ আমাকে কঠিন পরীক্ষায় ঠেলে দিয়েছে। অসহায় হয়ে গেছি আমি’। 

এ পর্যন্ত জেলায় ৬,৯৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৩৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১২২জন। মারা গেছেন ২১ জন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here