লালমনিরহাটে আইনি মানছেনা বাজার ইজারাদারেরা

গরু কেনা-বেচার জন্য রংপুর বিভাগের সবচেয়ে বড় বাজার বড়বাড়ীহাট। একই সঙ্গে মাছ, মাংস, মুরগি, ডালসহ বিভিন্ন সবজি ওঠে। সারাদেশে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় এই হাটে।

বুধবার সকাল ৮টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ীহাটে এমন চিত্র দেখা গেছে। ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। নিয়ম না মেনে লোক সমাগম করে হাট পরিচালনা করছেন ইজারাদার। এতে করে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন এই অঞ্চলের মানুষরা।

জেলার পাঁচ উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কমছে না জনসমাগম। এতে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে জেনেও সচেতন হচ্ছে না মানুষ। প্রশাসন থেকে জনসমাগম না হতে মাইকিং করলেও বড়বাড়ীহাটের ইজারাদার নিয়ম না মেনে লোক সমাগম করে হাট পরিচালনা করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, নজরদারিতে রাখা তালিকাভুক্ত বিদেশ ফেরতরাও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে। ফলে অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বড়বাড়ীহাটের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন  বলেন, জনসমাগম না করার বিষয়ে আমরা কোনো প্রকার নির্দেশনা পাইনি  ‘প্রতি সপ্তাহে আমরা হাটে কেনা-বেচা করি।

জনসমাগমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে, জানেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভাইরাস আক্রমণ করবেই, কিন্তু হাটে না আসলে সংসার চলবে কীভাবে।’

হাট খোলা রাখার বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সভাপতির ভাই ও হাটের ইজারাদার আসহাবুল হাবিব লাভলুর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘আপাতত হাট-বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আমরা মাইকিং করে জনগনকে সচেতন করার চেষ্ঠা করছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, আজ থেকে হাট বন্ধ। তবে কাঁচাবাজার,মুদি দোকান ও ঔষধের দোকান খোলা থাকবে।