• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

লালমনিরহাটে অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে: বিচার পায়নি ভুক্তভোগী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার এএসআই নাদের হোসেনের বিরুদ্ধে অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসপি’র কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো বিচার পায়নি অভিযোগকারী।

এএসআই নাদের হোসেনের দাবি ফারহানা আক্তার উর্মি নামে কোনো নারীকে তিনি বিয়ে করেননি। তবে ফারহানা আক্তার উর্মি বলেন, এএসআই নাদের হোসেনকে তিনি বিয়ে করেছেন।

এএসআই নাদের হোসেনের প্রথম স্ত্রী শিল্পী বেগমও দাবি করেন, তার অনুমতি না নিয়ে ফারহানা আক্তার নামে এক নারীকে বিয়ে করেছেন তার স্বামী। পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে। অভিযোগকারী নাবিদ হাসান হিমেলের অভিযোগ তিনি বিচার পাননি উল্টো ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

হাতীবান্ধা থানার এএসআই নাদের হোসেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় গত বছরের ২০ জুলাই ওই এলাকার নাবিদ হাসান হিমেলের স্ত্রী ফারহানা আক্তার উর্মিকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নাবিদ হাসান হিমেল গত ২ আগস্ট লালমনিরহাটের এসপি এসএম রশিদুল হকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ পত্রের সঙ্গে নাদের হোসেন ও ফারহানা আক্তার উর্মির বিয়ের কাগজপত্র সংযুক্ত করেন নাবিদ হাসান হিমেল। গত ১৯ আগস্ট এএসআই নাদের হোসেনের স্ত্রী শিল্পী বেগমও লালমনিরহাট এসপির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগে শিল্পী বেগম দাবি করেন, তার স্বামী নাদের হোসেন তার অনুমতি না নিয়ে ফারহানা আক্তার উমি নামে এক নারীকে বিয়ে করেছেন এবং ওই বিয়ের পর থেকে তাকে ও সন্তানের ভরণ পোষণ দিচ্ছে না। 

দুইটি অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ২১ আগস্ট এসপি এসএম রশিদুল হক পুরো বিষয়টি তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অ্যাডিশনাল এসপিকে (সদর) নিদের্শ দেন। কিন্তু নাবিদ হাসান হিমেলের অভিযোগ, এ ঘটনার সাত মাস পার হলেও তার করা অভিযোগের কোনো বিচার পাননি তিনি। উল্টো ওই পুলিশ কর্মকর্তা নাদের হোসেন তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় এএসআই নাদের হোসেন বলেন, ফারহানা আক্তার উর্মি নামে কোনো নারীকে তিনি বিয়ে করেনি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। তবে ফারহানা আক্তার উর্মি বলেন, তিনি তার আগের স্বামী নাবিদ হাসান হিমেলকে তালাক দিয়ে এএসআই নাদের হোসেনকে বিয়ে করেছেন। অপর দিকে এএসআই নাদের হোসেনের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, আমি যতদুর শুনেছি আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। ওই বিয়েতে আমার অনুমতি নেয়া হয়নি। 

লালমনিরহাটের বর্তমান এসপি আবিদা সুলতানা বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বলতে হবে। তবে সিনিয়র এএসপি শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, বিষয়টি আগের এসপি তদন্ত করেছেন। আমি যতদূর জানি ওই সময় উভয় পক্ষের মাঝে মিমাংসা হয়েছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here