‘রেহানা কারও কষ্ট দেখলে খবর পাঠায়, চেষ্টা করি ব্যবস্থা নিতে’
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১১ মে ২০২১
Find us in facebook
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ছোট বোন রেহানা যখন লন্ডনে থাকে তখন সে অনলাইনে নিয়মিত পত্রিকা পড়ে এবং কারও কোনো কষ্ট দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে খবর পাঠায়। আমি চেষ্টা করি ব্যবস্থা নিতে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে বাঙালি সিনেমা শিল্প করবে- এটা পাকিস্তানি শাসকরা কখনও চাইতো না। তারা এটা নিয়ে অনেক ব্যাঙ্গও করত। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে আমাদের সিনেমা শিল্প, শিল্পী ও সাহিত্যিক সবার ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখেছি, অনেকেই আমাদের বাসায় সবসময় আসা যাওয়া করতেন এবং বাবার সঙ্গে অনেকের গভীর বন্ধুত্ব ছিল। বঙ্গবন্ধু তাদের বলেছিলেন, কি রে তোরা পারবি না সিনেমা বানাতে? সেই থেকেই যাত্রা শুরু।’ স্বাধীনতার পর চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতার বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমাদের দেশের মানুষের বিনোদনের তেমন কোনো সুযোগ নেই। এই সিনেমাটাই তাদের বিনোদনের সুযোগ। আর জাতির পিতা দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাটা বুঝতেন। তিনি তো মানুষের জন্যই তার জীবনটা দিয়ে গেছেন। তার সেই অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করাই আমাদের দায়িত্ব।’
১৫ই আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি হত্যাকাণ্ড আমাদের জীবনটাই পাল্টে দিল। তারপর থেকে বাংলাদেশে সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব ও আদর্শটাই নষ্ট হল। আমরা যে বাঙালি, সেই বাঙালির সংস্কৃতি চেতনাটাও নষ্ট হতে বসেছিল। কিন্তু আমরা যখন থেকে সরকারে এসেছি তখন থেকে উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২০ করে দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেখেছি, অনেক শিল্পীর আমাদের বাসায় অবাধ যাতায়াত ছিল। এমনকি ধানমন্ডি লেকের সামনে যখন শ্যূটিং হতো তখন সবাই আমাদের বাসায় এসেই বসতো, চা-পানি খেত। মা সবাইকে আপ্যায়ন করতেন। আমাদের সবাই সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে ভালোভাবে জড়িত ছিল। আমার ছোট ভাই শেখ কামাল নাটক করতো। নাট্য মঞ্চে তার বেশ ভালো ভূমিকা ছিল। আমাদের বাসার সকলে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় সম্পৃক্ত ছিল।’
চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের আর্থিক দুরবস্থা বা সংকটে পড়ার দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমি আছি, এখন হয়তো সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কিন্তু আমি যখন থাকব না তখন কী হবে? তাই সেই চিন্তা থেকেই চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিচ্ছি। এই ট্রাস্ট আইনটা আমরা পার্লামেন্টে পাস করব। এরপর আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটা সিড মানিও দেব। সেইসঙ্গে আমরা চাইব যে, যারা চলচ্চিত্রের সঙ্গে আছেন তারাও অর্থের জোগান দেবেন। বিপদ-আপদে শিল্পী-কলাকুশলীরা যাতে এই ট্রাস্ট থেকে অনুদান নিতে পারে। এমনকি চিকিৎসা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ যেন করতে পারেন- সেই লক্ষ্য নিয়েই এই ট্রাস্টটা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
চলচ্চিত্র আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের বিনোদনের একমাত্র জায়গা দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু সেই চলচ্চিত্রটা আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যদি এগুলো তৈরি করা না হয় তাহলে কিন্তু ওই আকর্ষণটাও থাকবে না। এমনকি মার্কেটও পাওয়া যাবে না। সেকারণে এফডিসিকে উন্নত করার জন্য একটা প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সেখানেও অনেক টাকা লাগছে। আর কবিরহাটে যে জায়গাটা জাতির পিতা দিয়ে গিয়েছিলেন, সেটাকেও শ্যূটিংয়ের জন্য উপযুক্ত আধুনিক জায়গা হিসেবে তৈরি করছি।’
তিনি বলেন, ‘এক হাজার কোটি টাকার একটা ফান্ড তৈরি করব। অল্প সুদে এখান থেকে টাকা নিয়ে সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স তৈরি করা যাবে। যেখানে একেকটি অঞ্চলের মানুষের বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। কারণ অনেকগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন অনেক উন্নত মানের সিনেমা তৈরি করা যায়। সেইদিকেই আমরা একটু বিশেষ করে দৃষ্টি দিচ্ছি।’
বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটিকে উন্নত করে তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এফডিসির ওখানে কারওয়ান বাজার। এটি একটি হোল সেল মার্কেট। তবে ঢাকার হোল সেল মার্কেট আমরা বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। এখানে হয়তো কিছু থাকবে। কিন্তু মূলটা আমরা সরিয়ে নেব। হাতিরঝিল হওয়াতে এফডিসির গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। তাই এই জায়গাটাকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই। সেখানে তিনশ কোটি টাকার একটা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঐতিহ্যগুলো রক্ষা করতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে ফিল্ম আর্কাইভের মাধ্যমে পুরনো সিনেমাগুলো পুনরুদ্ধারে কাজ করতে হবে। কারণ সিনেমা শিল্পেও ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে চাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করা। আমরা সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ব্যবস্থা নিয়েছি।’
রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুরস্কার ও সম্মাননা জয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
২৬ ক্যাটাগরিতে ৩৩ জন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানের শুরুতে তথ্যসচিব খাজা মিয়া স্বাগত বক্তব্য দেন।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে একরকম বন্দি জীবন-যাপন করার কথা পুনর্ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমার বাইরে যাওয়া নিষেধ। সেকারণে এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধায় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিচ্ছি। আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে বলে এটা সম্ভব হচ্ছে। এটা না হলে এইটুকু সুযোগ পেতাম কিনা সন্দেহ। আমারও একটা দুঃখ থেকে গেল; আমি নিজে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দিতে পারলাম না। আশা করি করোনাভাইরাস থেকে দেশ মুক্তি পাবে। আবার সকলে আমরা এক হতে পারব। সেই দিনটির অপেক্ষায় রইলাম।’
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- সঙ্গীকে ভালো লাগছে না, তবুও কেন একসঙ্গে থাকা?
- দেশে ফিরেছেন স্পিকার
- নারী ফুটবলারকে চুমুকাণ্ডে বড় শাস্তি পাচ্ছেন রুবিয়ালেস
- জায়েদ খানের নায়িকা হচ্ছেন ভারতের পূজা ব্যানার্জি, যা বললেন নায়ক
- জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনিদের হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনা
- সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
- শরীয়তপুরের সেই চিকিৎসককে চান না রৌমারীবাসী
- আইএমইআই পরিবর্তন করে মোবাইল বিক্রি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ চাকরি প্রত্যাশী
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে
- ৭ বছর ধরে নিজ বাড়িতে শিকলে বন্দী নুর
- রাণীশংকৈলে কৃষকের মাঝে বিনামূল্য পাটবীজ ও সার বিতরণ
- সৈয়দপুরে ফেসবুক লাইভে থেকে যুবকের আত্মহত্যা
- কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজার মধ্যাহ্নভোজের মেন্যুতে যা যা ছিল
- সুন্দরগঞ্জে হৃদরোগে আক্রান্ত রুসদাকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি
- বালিয়াডাঙ্গীতে বাড়ির আঙিনায় গাঁজা চাষ, গ্রেপ্তার ১
- ভেজাল খাদ্যপণ্য সরবরাহ, বিরামপুরে ২ জনের কারাদণ্ড
- রংপুরে আলু পরিবহনে ফিরেছে ঘোড়ার গাড়ি
- বিরামপুরে এক পা বিশিষ্ট্য সন্তানের জন্ম
- রংপুরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় আগেই
- ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- হাতীবান্ধায় জেলের জালে উঠে এল প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ
- শখের ড্রাগন বাগানে স্বাবলম্বী জহুরুল ইসলাম
- চিরিরবন্দরে সেচের কাজে এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে সেঁউতি-দোন
- পার্বতীপুরে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই-সাইকেল বিতরণ
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- ফজর সালাতের প্রতি আর গাফেলতি-অলসতা আসবে না, যদি...
- ঢাকায় ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ঠাকুরগাঁওয়ে অ্যাম্বুলেন্স-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা- প্রধানমন্ত্রী
- ১২ বছরে প্রাথমিকে ২ লাখ ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
- রমজানে মুমিন মুসলমানের প্রতিদিনের আমল
- রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন
- সেবক হয়ে জেলা প্রশাসকদের কাজ করে যেতে হবে : স্পিকার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- চলছে কর্মযজ্ঞ, অক্টোবরে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু
- সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের শপথ আজ
- শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ শুরু হবে যখন
- রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
- নীলফামারীতে বিটরুট চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার
- মধ্যপন্থা: মুমিনের বৈশিষ্ট্য
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস