• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

রাঙামাটিতে হামে আক্রান্ত শিশুদের পাশে সেনাবাহিনী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে হামে আক্রান্ত পাঁচ শিশুর জীবন বাঁচাতে পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেলে হামে আক্রান্ত এসব শিশুদের উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিশুরা হলো- প্রতিল ত্রিপুরা (৫), রোকেন্দ্র ত্রিপুরা (০৬), রোকেন্দ্র ত্রিপুরা (০৮), নহেন্দ্র ত্রিপুরা (১০) ও দিপায়ন ত্রিপুরা (১৩)।

এদিকে গত দু’মাস আগে সাজেক ইউনিয়নের শিয়ালদহ ও তুইচুই মৌজায় ভারত সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রাম অরুনপাড়া, লংথিয়ান ত্রিপুরা পাড়া এবং হাউসপাড়ায় হানা দেয় হাম। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত আট শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ১৩০ জন।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়,  দুর্গম সাজেক ইউনিয়নের শিয়ালদহ ও তুইচুই মৌজায় ভারত সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রাম অরুনপাড়া, লংথিয়ান ত্রিপুরা পাড়া এবং হাউসপাড়ায় হাম রোগের প্রাদুভার্ব ঘটে।  গত ১৫ ফেব্রুয়ারী হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ শিশু মারা যায়।  এরপর গত ২মাসের মধ্যে সর্বশেষ ৮জন নিহত এবং ১৩০ জন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং ৫৪ বিজিবির যৌথ সমন্বয়ে  পাঁচটি মেডিক্যাল টিম আক্রান্ত শিশুদের সেবা দিচ্ছে।

এর আগে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক আক্রান্ত শিশুদের সহায়তায় খাগড়াছড়ি রিজিয়নকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এরপর রিজিয়ন সেই চিঠির অনুরোধে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) তাদের একটি মেডিক্যাল টিমকে হেলিকপ্টার করে  সাজেকের  আক্রান্ত এলাকায় পাঠায়। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেলে ওই এলাকায় খুঁজে হামে আক্রান্ত পাঁচ শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসা দিতে হেলিকপ্টার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দুঃখ প্রকাশ করে রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে প্রধান সমস্যা হলো কুসংস্কারে বিশ্বাস। এরপর আমাদের জন্য বড় বাঁধা হলো দুর্গমতা। সবমিলে নিদারুণ সমস্যা। যে কারণে এ এলাকার শিশুদের হাম রোগের টিকার আওতায় আনা সহজ হয়ে উঠেনি। বর্তমানে সেনা, বিজিবি, জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথ উদ্যোগে এ সমস্যা উত্তোরণে কাজ করছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here