• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

রমেকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রি-ম্যাচিওরিটি ডে’ উপলক্ষ্যে গোলটেবিল আলোচনা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

সিজারের কারণে দেশে অপরিণত (প্রি-ম্যাচিওরড) শিশু জন্মের হার দিনদিন বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মোস্তোফা খালেদ আহমেদ। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) ‘ওয়ার্ল্ড প্রি-ম্যাচিওরিটি ডে’ উপলক্ষ্যে গোলটেবিল আলোচনায় একথা বলেন তিনি। রমেক হাসপাতাল মিলনায়তনে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে ইউনিসেফ-এর সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রমেক পরিচালক ডাঃ মোঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ, রংপুর ফিল্ড অফিসের প্রধান নাজিবুল্লাহ হামীম।

ইউনিসেফ-এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় ওই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ভ কুমার রায়, রংপুরের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. দেলোয়ার হোসেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ, রংপুর মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগীয় প্রধান ডা. বিকাশ মজুমদার, প্রাইম মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগীয় প্রধান ডা. চঞ্চল  মন্ডল, রমেক কনসাল্ট্যান্ট ডা. মনিকা মজুমদার, ডা. রৌশন আরা, ডা. জাহিদুর রহমান প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় দেড় কোটি শিশু সায়ত্রিশ সপ্তাহের আগেই অপরিপক্ব অবস্থায় জন্ম নেয়; যার মধ্যে দশ লাখ শিশু এ সংক্রান্ত জটিলতায় মারা যায়। প্রতিবছর ছয় লাখেরও বেশি শিশু (মোট শিশু জন্মের ১৯ শতাংশ) সায়ত্রিশ সপ্তাহের আগেই অপরিপক্ব অবস্থায় জন্ম নেয়; যার মধ্যে তেইশ হাজারেরও বেশি সংখ্যক শিশু এ সংক্রান্ত জটিলতায় পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যায়। নবজাতক শিশু মৃত্যৃর ৩১ শতাংশ কেবলমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম সংক্রান্ত জটিলতায় হয়ে থাকে।

গোলটেবিল আলোচনায় রংপুরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আসা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কম বয়সে গর্ভাবস্থা, ইনফেকশন, ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপকে সায়ত্রিশ সপ্তাহের আগেই অপরিপক্ব অবস্থায় শিশুর জন্ম নেয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ আলোচকগণ উন্নতমানের প্রসব পূর্ববর্তী সেবা, পুষ্টি, গর্ভাবস্থায় ইনফেকশন শনাক্তকরণ ও চিকিতসা নিশ্চিত করা, ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ এবং জন্ম পরবর্তী নবজাতক ও মাতৃসেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে অপরিপক্ব অবস্থায় শিশু জন্ম নেয়ার প্রতিকার ও চিকিতসার ওপর গুরুত্ব দেন। ইউনিসেফ, রংপুর ফিল্ড অফিসের প্রধান নাজিবুল্লাহ হামীম তার বক্তব্যে যথাসময়ে সুস্থ নবজাতক জন্ম, নিরাপদ প্রসব ও মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে উন্নত মানের স্বাস্থ্য সেবাসহ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর আহবান জানান। তিনি গর্ভবতী মায়ের যত্নে পরিবারের সবার জোরালো ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্ব দেন।

সেইসাথে অকাল গর্ভাবস্থা রোধে বাল্য বিয়ে দূরীকরণের কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের সমতা  বাড়ানো, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, সরকারের ‘ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার’ কর্মসূচী বিভাগীয় শহরের বাইরে ছড়িয়ে দেয়া এবং নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সংখ্যা ও গুণগত মান নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ১৭ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড প্রিম্যাচিওরিটি ডে’ উদযাপিত হয় নিরাপদ ও সুস্থ্য নবজাতকের জন্ম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here