• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

রংপুরের হাড়িভাঙা আম পাঠাতে বিশেষ ব্যবস্থা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের জনপ্রিয় হাড়িভাঙা আম বাজারে আসতে শুরু করেছে। বিরুপ আবহাওয়া, ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যেও এ বছর আমের উৎপাদন ভালো হয়েছে। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গাছ থেকে আঁশহীন এই আম পাড়া হয়। এবারে আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী গাছ থেকে আম পাড়া ও বাজারজাত শুরু হয়েছে। রংপুরের হাটবাজারে পাইকারি ও খুচরা দরে বিক্রি হচ্ছে এই হাড়িভাঙা আম।

এদিকে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহায়তায় ডাক বিভাগের ‘কৃষক বন্ধু ডাক সেবা’ এর মাধ্যমে অর্ধেক ভাড়ায় হাড়িভাঙার উৎপাদন এলাকা মিঠাপুকুরের চারটি স্পট থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আম পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বিআরটিসি‘র মধ্যে সমঝোতা স্মারকের প্রেক্ষিতে বিআরটিসি‘র ট্রাকের মাধ্যমে ওই চার স্পট থেকে ৫০% কম ভাড়ায় আম পাঠানো হবে। স্পটগুলো হচ্ছে ময়েনপুর ইউনিয়নের কদমতলাহাট এবং খোড়াগাছ ইউনিয়নের পদাগঞ্জ, তেকানী বাজার ও মাঠেরহাট। আগামী ১ জুলাই থেকে এই আম পাঠানো কার্যক্রম শুরু হবে ।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক আনোয়ারুল হক জানান, ইতোমধ্যে চাষিদের আম সংগ্রহসহ আধুনিক বিপণন কলা কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আমচাষি, ব্যবসায়ী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের চারটি স্পটে চারজন ট্যাগ অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া রংপুরের হাড়িভাঙা আম কোনোধরনের হয়রানি ছাড়িই নির্বিঘ্নে পরিবহনের জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় কৃষক বন্ধু ডাক সেবা’র বিআরটিসি‘র ট্রাকে স্টিকার লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক ড. সরোয়ারুল হক জানান, এ বছর রংপুর জেলায় তিন হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আমের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙার ফলন হয়েছে এক হাজার ৭৫০ হেক্টরে। আশা করা হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন হাঁড়িভাঙা আমের উৎপাদন হবে। এখান থেকে প্রায় ১১৫ কোটি টাকার বিপণন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে বিপণনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here