• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রংপুরে ৫৫ বছর পর জমি ফিরে পেলেন প্রকৃত মালিক

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

সরকার ঘোষিত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন বিষয়ে পরিপত্রের প্রেক্ষিতে ট্রাইবুন্যালে দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ ৫৫ বছর পর জমি ফিরে পেলেন প্রকৃত মালিক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত বিন কুতুবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে এতদিন ধরে থাকা লিজ গ্রহীতাদের উচ্ছেদ করে প্রকৃত মালিকের কাছে জমির মালিকানা বুঝিয়ে দেন।

২০১২ সালে সরকার অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন বিষয়ক ঘোষণার পর মালিকপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিজ জমি ফিরে পাওয়ার এই ঘটনাকে পুরো উত্তরবঙ্গে প্রথম এবং যুগান্তকারী ঘটনা বলে উল্লেখ করেন বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী এবং রাষ্ট্রপক্ষে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, নগরীর আলমনগর মৌজাধীন ঠিকাদার পাড়া মোড়ে অবস্থিত এস.এ (৬২ সালের রেকর্ড) খতিয়ানমূলে এবং ৩১৯০ দাগে ১০ শতক ও ৩৬১৪ দাগে ৩ শতকসহ মোট ১৩ শতক জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন সুরেন্দ্র চন্দ্র পালের স্ত্রী রুক্ষিনী পাল।
 
৬৫ সালে যুদ্ধের সময় তারা ভারতে পালিয়ে যান এবং পরবর্তীতে দেশে ফিরে আসেন। তারা ছিলেন নিঃসন্তান। রুক্ষিনী পাল ৭৩ সালে মারা গেলে ওই জমির মালিক হন সুরেন্দ্র চন্দ্র পাল। পরবর্তীতে তিনি অনুরাধা পাল নামের এক মহিলাকে বিয়ে করেন তার এবং তার গর্ভে দুই সন্তান জন্মলাভ করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভুলবশত ওই জমি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং ৭৪ সালে সাফিউল ইসলাম ও মো. হাবিব মিয়া নামের দুই ব্যক্তি ওই ১৩ শতক কথিত অর্পিত সম্পত্তি রংপুর জেলা প্রশাসনের থেকে একসনা লিজ নিয়ে বসবাস শুরু করেন। 

২০১২ সালে সরকার অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। একই সঙ্গে অর্পিত সম্পত্তি সম্পর্কিত একটি ট্রাইবুন্যাল গঠিন করা হয় এবং তাতে বলা হয়, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন বিষয়ে যদি কোনো প্রকৃত ওয়ারিশ থেকে থাকেন তবে তারা প্রকৃত ওয়ারিসনের কাগজপত্র দাখিলপূর্বক ওই জমির মালিকানা চেয়ে ট্রাইবুন্যালে মামলা করতে পারবেন। এরই প্রেক্ষিতে অনুরাধা পালের দুই ছেলে সত্য রঞ্জন পাল এবং প্রিয় রঞ্জন পাল বিদুৎ নিজেদের ওয়ারিশনের কাগজপত্রসহ রংপুরের অর্পিত সম্পত্তি ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন। বিচারে রাষ্ট্র বিবাদীপক্ষ হেরে যায়। পরে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল মোকাদ্দমা করেন। সেখানেও ট্রাইবুন্যালের বিজ্ঞ বিচারক বাদীপক্ষে রায় প্রদান করেন এবং পরবর্তী ১৫দিনের মধ্যে ওই জমি সরকারের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য লিজপক্ষকে নির্দেশ দেন।

কিন্তু লিজপক্ষ ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। সেখানেও লিজপক্ষ হেরে যায়। এরপর লিজপক্ষ সুপ্রিম কোর্টেও আপিল বিভাগে একটি আপিল মোকাদ্দমা দায়ের করেন। সেখানে লিজপক্ষের আইনজীবীরা ওই মামলা চালাতে অপারগতা প্রকাশ করলে ট্রাইবুন্যালের রায় বহাল থাকে। এরই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষ দীর্ঘ ৫৫ বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৩ শতক জমির মালিকানা প্রকৃত মালিক সত্যরঞ্জন পাল এবং প্রিয় রঞ্জন পাল বিদ্যুতের বরাবর হস্তান্তর করেন। বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সন্তোষ কুমার সরকার ও অরুন চন্দ্র সরকার এবং সরকারপক্ষে ভিপি-জিপি অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here