• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রংপুরে রোগ-পোকায় করলা ক্ষেতের সর্বনাশ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের মিঠাপুকুরে করলার ভাইরাস ও পাতা মোড়ানো রোগে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ক্ষেত। এতে উৎপাদন খরচ বাড়লেও কমেছে ফসল উৎপাদন। চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে কৃষক। তারা কৃষি দপ্তরের কোনো পরামর্শ ও প্রতীকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সবজি উৎপাদন এলাকা বলে পরিচিত মিঠাপুকুরে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৩৩০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। এরমধ্যে রাণীপুকুর, লতিবপুর, কাফ্রিখাল ও পায়রাবন্দ ইউনিয়নে করলার চাষাবাদ বেশি।

সরেজমিনে রাণীপুকুর এরশাদ মোড় এলাকায় কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে করলা চাষ করতে গিয়ে কৃষকদের পড়তে হচ্ছে চরম দুশ্চিন্তায়। অজ্ঞাত ভাইরাসের আক্রমণ ও পাতা মোড়ানো (বাবরি) রোগে দিশেহারা কৃষক। মৌসুমে ছয় মাস ধরে ফসল তোলা গেলেও চলতি মৌসুমে একমাসও ফসল তুলতে পারেনি অনেকে। রাণীপুকুর ও লতিবপুর ইউনিয়নের আফজালপুর, মোলং, পাইকান, রাণীপুকুর, রসুলপুর ও মাঠেরহাট মাদারপুর গ্রামের কৃষকদেরও একই অবস্থা।

কয়েকজন কৃষক জানান, করলা চাষ লাভজনক। তবে চলতি মৌসুমে লাভতো দূরের কথা, উৎপাদন খরচও তুলতে পারেননি অনেকে।

রাণীপুকুর এলাকার কৃষক রাশেদ মিয়া বলেন, ফসল লাগানোর কিছু দিনের মধ্যে করলা গাছের আগা অজ্ঞাত  রোগে মুড়িয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কীটনাশক দোকান থেকে ওষুধ কিনে ক্ষেতে দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

আরেক কৃষক সোহাগ মিয়া বলেন, 'রোগের আক্রমণের কারণে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। প্রতিবছর ৬-৭ বার ফসল তুলতে পারলেও চলতি বছরে অনেকে একবারও ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। তার আগেই রোগে শুকিয়ে গেছে করলা ফসলের ক্ষেত। তবে কৃষি দপ্তর থেকে এ ব্যাপারে কোনো পরামর্শ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'করলা মৌসুমি ফসল। এটি চাষাবাদ করতে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও রোগের আক্রমন হয়। কিন্তু সঠিক সময়ে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে ক্ষতি কমানো যায়।'

ভাইরাস আক্রান্ত গাছগুলো তুলে পুঁতে ফেলার পরামর্শ দিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, 'মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।'

Place your advertisement here
Place your advertisement here